সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বলি বীরভূমের এক জওয়ান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওই জওয়ানের নাম গোপাল মাড্ডি। বছর উনত্রিশের তরতাজা যুবকের এমন অকাল পরিণতিতে শোকে পাথর গোটা পরিবার। শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর গ্রামেও। সিকিমে ঠিক কীভাবে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়ছিলেন ওই জওয়ান? জানলে গায়ে কাঁটা দেবে!
হঠাৎ কীভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ওই জওয়ান?
বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের নান্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওই জওয়ান গোপাল মাড্ডি। তাঁর পোস্টিং ছিল জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে। সেখান থেকে সিকিমের হরভজন সিং মন্দিরে ডিউটি করতে গিয়েছিলেন তিনি। যেদিন সিকিমে ভয়াবহ সেই দুর্যোগ নেমে আসে তখন হরভজন সিং মন্দির থেকে ডিউটি সেরে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে ফিরছিলেন তিনি।
ফেরার পথেই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়েন ওই জওয়ান। গত ৪ অক্টোবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গোপাল মাড্ডির বাড়িতে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেওয়া হয়। গতকাল সন্ধেয় গোপালের বাড়িতে পৌঁছোয় তাঁর মৃত্যু-সংবাদ। এখবর পৌঁছোতেই আদিবাসী অধ্যুষিত নান্দুলিয়া গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। ২৯ বছর বয়সী গোপাল ২০১৪ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- রোদ ঝলমলে আকাশে উৎসবের ভরপুর আমেজ! পুজোর ঠিক আগে আগে নতুন করে দুর্যোগ?
সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০২১ সালে বোলপুরের সিয়ানের বাসিন্দা মাম্পি মুর্মূর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। গোপালের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর মা, বাবা, দাদা, বোন ও স্ত্রী। আকস্মিক বাড়ির ছেলের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে গোটা পরিবার।