রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডের তদন্তভার হাতে পেয়ে শনিবার থেকেই পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। শনিবার সকালেও রামপুরহাটের হোটেলে সংস্থার জয়েন্ট ডিরেক্টরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক হয় ডিআইজি সিবিআই অখিলেশ সিংয়ের।তারপরেই হোটেল ছেড়ে রামপুরহাট হাসপাতালে পৌঁছে যায় সিবিআই দল। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বগটুই কাণ্ডে জখম বেশ কয়েকজন। তাঁদের সঙ্গেই কথা সিবিআই আধিকারিকদের। অন্যদিকে, শনিবারের পর রবিবারও বগটুইয়ে সিবিআইয়ের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক টিম। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ বিশেষজ্ঞদের।
বগটুই গণহত্যার তদন্তে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করতে পারে সিবিআই। বগটুই কাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে এদিনই পুলিশের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেদিনের ঘটনার রাতের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, সিসি ফুটেজ গ্রামবাসীদের দেখিয়ে দুষ্কৃতীদের চেনার চেষ্টা হতে পারে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বগুটুই গণহত্যার তদন্তভার হাতে পেয়ে শনিবারই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল সিবিআই দল। ডিআইজি-সিবিআই অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের একটি দল তিন ভাগে ভাগ হয়ে তদন্তের কাজ চালিয়েছে। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলি ঘুরে দেখেছেন অফিসাররা। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন সিবিআইয়ের ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা। তবে এবার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।

রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সেদিনের ঘটনার জেরে জখম বেশ কয়েকজন। তাঁদের সঙ্গেই কথা সিবিআই আধিকারিকদের। ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? হামলা চালাতে কারা এসেছিল? হামলাকারীরা কি পরিচিত ছিল?
আরও পড়ুন- বগটুইকাণ্ডে ধৃত আনারুলের মুখেও ‘ষড়যন্ত্র’ তত্ত্ব, CBI-কে সহায়তার দাবি
এই সব বিষয় জানতে চাওয়া হতে পারে বগটুই কাণ্ডে জখমদের কাছ থেকে। এরই পাশাপাশি এই ঘটনায় তৃণমূলের রামপুরহাট ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের ভূমিকা সম্পর্কেও তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হবে। তাঁদের দেওয়া সব বয়ানই রেকর্ড করবে সিবিআই।
উল্টোদিকে, বগটুইয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনহারা বেশ কয়েকজন। সেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজই কথা বলতে যেতে পারেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। তাঁদের কাছেও একই প্রশ্ন রাখবেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদেরও বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে জানা গিয়েছে।