জনসংযোগে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সাঁইথিয়ার গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের তারকা-সাংসদ। এলাকাবাসীর ক্ষোভ শুনে সাংসদের সাফ জবাব, ''অনেক বেশি পেয়েছে, তবে যারা পাওনি এবার পেয়ে যাবে।'' সাংসদকে ঘিরে বাসিন্দাদের এই ক্ষোভ সঙ্গত বলেই মনে করেন বিরোধীরা।
বছর ঘুরলেই রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগের কাজ বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সভা করার আগে এলাকারই একটি গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সরকারি প্রকল্পে বাড়ি না পাওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ শুনেছিলেন সাংসদ। পরে ভরা সভায় পঞ্চায়েত প্রধান-উপপ্রধানকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন তৃণমূল নেতা।
এবার জনসংযোগের কাজ সারতে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়তে হল বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কেও। সাঁইথিয়ার হাতোড়া গ্রামে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানেই গ্রামের মহিলারা তাঁকে কার্যত ঘিরে ধরেন। সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাওয়া নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলেন তাঁরা। যা শুনে শতাব্দী রায় বলেন, ''অনেক বেশি পেয়েছো। যারা পাওনি তাঁরাও এবার পেয়ে যাবে।'' রাজ্য সরকারের 'দুয়ারে সরকার' উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের সমস্যা সাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
আরও পড়ুন- তৃণমূল নেতার বাড়িতে বাজি কারখানা? জানতেন না পড়শিরাই, ভূপতিনগরে নিহতের স্ত্রীর স্বীকারোক্তিতে ধন্দ
এদিকে, জনসংযোগে গিয়ে তৃণমূল সাংসদকে ঘিরে এই বিক্ষোভ নিয়ে বিরোধীরা শাসকদলকে একহাত নিয়েছেন। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ''যেভাবে গ্রামের নীচুস্তর থেকে ওপর পর্যন্ত দুর্নীতি হয়েছে তাতে মানুষের কাছে যাওয়ার ওঁদের মুখ নেই। বীরভূমের সাংসদ তো এমনিতেই গায়েব। জিতে যাওয়ার পরে গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় যাচ্ছেন। মানুষ খেপে আছেন। সর্বত্র টাকার পাহাড় মিলছে। তবে এটা শুভ লক্ষণ। মানুষ প্রতিবাদ করছেন। এটা আগে হতো না।''
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ''কাঁথিতে গতকাল গ্রামে গিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে প্রধান, উপপ্রধানকে খারিজ করেছেন। এবার শতাব্দী রায়ও প্রধান, উপপ্রধানকে খারিজ করবেন? ধিকিধিকি জ্বলছে মানুষের ক্ষোভ।''