ঘটনার পরেরদিন সকালেই ক্লোজ করা হয়েছিল। এবার সাসপেন্ড করা হল রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ আসে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে।
রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে নোটিস পাঠিয়ে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলেন। মঙ্গলবার ত্রিদীপ প্রামাণিককে ক্লোজ করার পাশাপাশি এসডিপিও সায়ন আহমেদকেও অপসারণ করা হয়েছিল। এদিনই বগটুই গ্রামে গিয়ে দোষীদের কড়া শাস্তি এবং কর্তব্যে গাফিলতির জন্য পুলিশকে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, এদিন বগটুই গ্রামে গিয়ে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে তিনি নির্দেশ দেন, "যে পুলিশ ফুর্তি করবে তাদের পুলিশে থাকার দরকার নেই। কয়েক জন পুলিশের জন্য গোটা ডিপার্টমেন্টের বদনাম হবে এটা আমি মেনে নেব না। কোনও নেতার কথায় কাউকে ধরবে আর কাউকে ছাড়বে সেটা হতে পারে না।"
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ, পুলিশের জালে তৃণমূল নেতা আনারুল
তিনি আরও বলেন, "পুলিশ তার নিজের ডিপার্টমেন্টের অর্ডার ছাড়া কারুর অর্ডার ক্যারি করবে না এটা সমস্ত জায়গায় বলে দিন।" পুলিশকে কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বলেন মমতা। তিনি নির্দেশ দেন, নিহতের পরিজনরা তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল শেখের অভিযোগ করছে। অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর কয়েক ঘণ্টা পরই তারাপীঠের একটি হোটেল থেকে আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে, এদিনই রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য দুপুরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের সমস্ত পুলিশকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্পেশ্যাল ড্রাইভ বা তল্লাশি চালাবে পুলিশ। এই ১০ দিনে রাজ্যের যেখানে যত বেআইনি অস্ত্র, বোমা পাওয়া যাবে তা বাজেয়াপ্ত করে নষ্ট করতে হবে। কার্যত ১০ দিন রাজ্যের সমস্ত পুলিশের ছুটি কার্যত বাতিল বলা চলে।