বৃহস্পতিবারই বগটুই গ্রামে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করেছিলেন নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে। বগটুই কাণ্ডে নিজের স্ত্রী, কন্যা--সহ পরিবারের একাধিক সদস্যকে হারিয়েছেন মিহিলাল শেখ। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে ইনসাফের আশ্বাস দিয়েছিলেন। বগটুই কাণ্ডে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেও মমতাতেই আস্থা রয়েছে মিহিলালের।
সেদিনের নৃশংস কাণ্ডে নিজের স্ত্রী, কন্যা-সহ পরিবার হারানো মিহিলাল বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন আমি ওঁর উপর ভরসা রাখছি। আমাকে পূর্ণ ইনসাফ পাইয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ওঁর উপর আস্থা-ভরসা রাখি আমি। কোর্ট সিবিআই রায় দিয়েছে, সেটা কোর্টের ব্যাপার। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের যে আশ্বাস দিয়েছেন সেটার উপর আমি ভরসা রেখেছি।"
কেন মমতার উপর আস্থা তার কারণও জানান মিহিলাল। বলেন, "ওঁকে বলার সঙ্গে সঙ্গেই আনারুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইসি-এসডিপিওকে সাসপেন্ড করেছেন। উনি আমাদের কাজ করে দেখিয়েছেন। সেই হিসাবে ওঁর উপর আস্থা রেখেছি।"
আরও পড়ুন পুলিশ হেফাজতে আনারুল, আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি তৃণমূল নেতার
কিন্তু পুলিশি নিরাপত্তার আশ্বাস পেলেও এখনও বগটুই গ্রামে ফেরেননি মিহিলালরা। সাঁইথিয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতেই রয়েছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই বগটুই গ্রামে পুলিশ প্রহরা বেড়েছে। সকাল থেকে রাত টহলদারি চলছে গ্রামে। তবে গ্রামে ফেরার ব্যাপারে এখনও নিরুত্তর মিহিলালরা।
আরও পড়ুন বগটুইয়ে নাটের গুরু কে? রহস্য লুকিয়ে দুই নেতার অট্টালিকায়
এদিকে, রামপুরহাটের বগটুই-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সবরকম সহযোগিতার বার্তা দিয়েও কৌশলী অবস্থান তৃণমূলের। এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ”সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করবে তৃণমূল। তবে প্রতিহিংসার রাজনীতির চেষ্টা হলে গণআন্দোলন হবে।”