Birbhum youth kidnapped: পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দাবিতে, এক যুবককে অপহরণ।চাঞ্চল্যকর ঘটনা বীরভূমে। অভিযোগ পেয়েই তৎপরতার সঙ্গে তদন্তে নামে পুলিশ। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অপরাধের কিনারা।
পঞ্চাশ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে এক যুবককে অপহরণের ঘটনা ঘটল বীরভূমের পাঁড়ুই থানার বড় মহুলারা গ্রামে।
অভিযোগ, ওই গ্রামের রেশন ডিলার আজহারউদ্দীন ওরফে সুরজকে শুক্রবার সন্ধ্যায় পাঁড়ুই বাজারে চা খাওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী একটি চারচাকা গাড়িতে অপহরণ করে। এদিকে দীর্ঘক্ষণ সুরজ বাড়ি না ফেরায় ভাই শেখ নাসির উদ্দিন এবং কাকা শেখ কামাল উদ্দিন প্রথমে পাঁড়ুই অঞ্চল প্রধান সিরাজুল শাহর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তাঁরা জানান, সুরজের দোকানে দুবরাজপুরের কামালপুরের বাসিন্দা আব্দুল তামিজ কাজ করত। সেই সুরজকে চা খাওয়ানোর নাম করে পাঁড়ুইয়ের ধর্মরাজতলায় যায়। সেখান থেকে একটি বন্ধকী আংটি ছাড়ানোর জন্য সুরজেকে বাইক করে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পর বাথরুমে যাওয়ার নাম করে গাড়ি থামায়। তখনই কালো রঙের চারচাকা গাড়ি থাকে। গাড়ি থেকে জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী সূরজকে গলায় গামছা বেঁধে গাড়ির কাছে টেনে নিয়ে যায়। আব্দুল তাজিম কিল চড় মেরে সুরজকে গাড়িতে তোলে এবং তারপর চার চাকা গাড়িকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়।
কয়েক ঘন্টা পর বাড়ির লোককে ফোন করে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পাশাপাশি পুলিশ থেকে শুরু করে প্রশাসনের কাউকে জানাতে বারণ করা হয়। সুরজের ফোন থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয় আর যদি টাকা না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে শেখ আজারুদ্দীনকে মেরে খুন করে ফেলে দেওয়া হবে।
পরিবারের লোকজন কিছু বুঝতে না পেরে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের দ্বারস্থ হলে প্রধান পুলিশ কে জানায়। টাওয়ার লোকেশন ট্রাক করে পুলিশ কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত বালিগুনি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে আনে শেখ আজহারউদ্দীনকে।
ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মুরতাজ খান নামে এক দুষ্কৃতীকে। যদিও ঘটনার মূল আসামি আব্দুল তাজিম সহ আরও বেশ কয়েকজনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের খোঁজ চলছে।