Advertisment

ভোটের ডিউটি দিলেন যাঁরা, পার্থক্য গড়লেন তাঁরাই?

রাজ্য সরকারের কর্মীরা এবছর তৃণমূলের বদলে গেরুয়া শিবিরেই আস্থা রেখেছেন। তৃণমূল নেত্রীর 'ঘেউ ঘেউ' মন্তব্যের জবাব ভোটবাক্সেই দিয়েছেন তাঁরা, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
বাঙালিকে কি তৃণমূল বা বিজেপি হতেই হবে?

ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট মহল। বাংলায় বিজেপির উত্থান নিয়েই মূলত জল্পনা। তবে নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের কর্মীদের দৌলতেই তৃণমূলের থেকে প্রায় তিনগুণ বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। তথ্য অনুযায়ী এটা পরিষ্কার, রাজ্য সরকারের কর্মীরা এবছর তৃণমূলের বদলে গেরুয়া শিবিরেই আস্থা রেখেছেন। বকেয়া ডিএ নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর 'ঘেউ ঘেউ' বলে কর্মীদের কটাক্ষের জবাব ভোটবাক্সেই দিয়েছেন তাঁরা, বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পোস্টাল ব্যালটে তৃণমূল পেয়েছে ২৫,৭৯১টি ভোট, অপরদিকে বিজেপি পেয়েছে ৭৩,৫৪১টি ভোট, বামেরা ৭,৩৭৭টি, কংগ্রেস ৫,৭৭০টি এবং নোটায় ভোট পড়েছে ৫,১৪৩টি।

Advertisment

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকারের কর্মচারী এবং ভোটের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হতেই চোখে পড়তে থাকে ভোটের ফারাক। রাজ্য বিজেপি নেতা কালিচরণ সাইয়ের কথায়, "এটা হওয়ারই ছিল। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের কর্মীরা সবাই গেরুয়া শিবিরকেই বেছে নিয়েছেন। এমনিতেই ডিএ এবং অন্যান্য ভাতা দেওয়া নিয়ে সরকারী কর্মীদের মধ্যে একটা অসন্তোষ ছিল। সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে ভোটে।"

আরও পড়ুন: বাংলা জিতে আজ দিল্লি পাড়ি বঙ্গ বিজেপির নয়া সাংসদদের

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেই প্রসঙ্গেই তিনি মন্তব্য করেন, "রাজ্যে চূড়ান্ত আর্থিক সংকটের মধ্যেও আমরা ডিএ বাড়াচ্ছি। আমি ব্যবস্থা করতে পেরেছি, তাই দিচ্ছি। আমাকে বলতে হবে না। আমার কাছে ঘেউ-ঘেউ, ফেউ-ফেউ করে কোনও লাভ নেই। কারণ আমি ঘেউ-ঘেউ, ফেউ-ফেউকে ভয় পাই না।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মন্তব্যেরই কি জবাব দিলেন সরকারি কর্মীরা? বকেয়া ডিএ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল, পরবর্তীতে হাইকোর্টেও এই মামলার শুনানি হয় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, পয়লা জানুয়ারিতে ১৫ শতাংশ হারে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৷ একইসঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ২০১৯ সালের মধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হবে বকেয়া ডিএ।

আরও পড়ুন: ‘অপ্রত্যাশিত’ ফল, জরুরি বৈঠক তলব মমতার

এবারের নির্বাচনে বাংলায় ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি এবং ৪০.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃণমূলের দুর্গে ফাটলও ধরিয়েছে। শুধু তাই নয়, গতবারে লোকসভা নির্বাচনে তারা পেয়েছিল দুটি আসন, সে জায়গায় এবারের ১৮টি আসন এবং ১৩০টি বিধানসভায় তৃণমূলকে পিছনে ফেলে তাদের লিড নিঃসন্দেহে বাংলায় তাদের ভবিষ্যৎকে শক্ত করার একটি ইঙ্গিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Read the full story in English

General Election 2019 West Bengal bjp
Advertisment