রাজ্যে ফের বিজেপি কর্মী হত্যার অভিযোগ। কাঠগড়ায় শাসক দল তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কোচবিহারে বিজেপির বুথ সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকারকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী এই হত্যায় জড়িত।
কোচবিহারের তুফানগঞ্জে বিজেপির ১৮৮ নম্বর বুথের সম্পাদক ছিলেন কালাচাঁদ কর্মকার। তাঁর পরিবারের তরফে লক্ষ্মী বর্মন বলেন, 'বুধবার সকালে কালাচাঁদবাবুকে রাস্তায় ফেলে মারছিল কয়েকজন। সেই সময় বাড়ির লোকরা বাঁচাতে যায়। ওই সময়ই কালাছাঁদের পেটে লাথি মারা হয়েছে। তখই জ্ঞান হারান তিনি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কালাচাঁদকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।' মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের তরফে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রঞ্জিত বর্মন, কমল বর্মন, সঞ্জিত বর্মন, নারায়ণ বর্মন ও দিলীপ বর্মনকে এই মারধরের জন্য দায়ী করা হয়েছে। ইতিমমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কালীপুজোকে কেন্দ্র করে বিবাদ হয়েছিল। তারই পরিণতি এই খুন। পুলিশের দাবি, দুই পাড়ার বিবাদকে কেন্দ্র করেই বচসার সূত্রপাত। পরে যা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। কমল বর্মনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিজেপির তরফে টুইটে বলা হয়েছে, 'কোচবিহারে বিজেপির বুথ সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকারকে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। রক্তের রাজনীতি করে বাংলার মানুষের সমর্থন পাওয়া যায় না মমতা ব্যানার্জী। আপনার দিন গোনার পালা শুরু!'
Trinamool’s ‘murder politics’ continues in West Bengal! In Coochbehar, BJP booth secretary Kalachand Karmokar was brutally beaten to death by TMC goons.
Pishi, you cannot expect people of Bengal to support your politics of blood and terror. Enough. Start counting your days! pic.twitter.com/fN2DLybI3J
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) November 18, 2020
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে টুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, 'কোচবিহারে বিজেপির বুথ সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকারকে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী পিটিয়ে হত্যা করেছে, কিন্তু প্রশাসন চোখে কাপড় বেঁধে রেখেছে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে। খুব শীঘ্রই মানুষ এর জবাব দেবে এই 'অহংকারী' সরকারকে।'
কোচবিহারে বিজেপির বুথ সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকারকে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী পিটিয়ে হত্যা করেছে, কিন্তু প্রশাসন চোখে কাপড় বেঁধে রেখেছে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে। খুব শীঘ্রই মানুষ এর জবাব দেবে এই 'অহংকারী' সরকারকে।
#FaltuMamatarPaltuPolice #MamataMuktBengal https://t.co/Dm7uWMYwZJ
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) November 18, 2020
লোকসভা ভোটের পর থেকে রাজ্যে একের পর এক দলীয় কর্মীর দেহ উদ্ধার ও খুনের ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। বাংলায় তৃণমূল হিংসার রাজনীতি কায়েম করেছে বলে অভিযোগ। এ দিনের ঘটনা তাদের সেই দাবিকেই ফের মান্যতা দিল বলে মত গেরুয়া শিবিরের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন