গ্রেফতারি থেকে সাময়িক রেহাই পেলেন অর্জুন সিং। ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থীকে ‘রক্ষাকবচ’ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্জুনকে মোট ৫ দিনের রক্ষাকবচ অনুমোদন করেছে শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ আগামী ৫ দিন অর্জুন সিংকে গ্রেফতার করা যাবে না। বুধবার এমনই নির্দেশ দিল বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি এমআর শাহের বেঞ্চ। উল্লেখ্য, আগাম জামিনের আর্জি জানিয়ে আজই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী। রাজ্য সরকার তাঁকে ‘ফাঁসানোর চক্রান্ত’ করছে। মিথ্যা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এমন অভিযোগ নিয়েই সর্বোচ্চ আদালতে যান তৃণমূলের একদা বাহুবলী এই নেতা।
এদিন আইনজীবী রঞ্জিত মিশ্র আদালতকে জানান, ‘‘গ্রেফতার করা হতে পারে, এই আশঙ্কা করছেন উনি (অর্জুন)। সে কারণেই এই আর্জি’’। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে অর্জুন সিং বলেন, ‘‘রোজ রোজ মামলা করছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছি। ১০০-র কাছাকাছি মিথ্যা মামলা করেছে’’।
আরও পড়ুন: কতগুলি মামলা তাঁর নামে, জমা টাকার পরিমাণই বা কী? রইল অর্জুন সিং-এর সম্পত্তির হিসেব
প্রসঙ্গত, ভাটপাড়ার এই ডাকাবুকো নেতা লোকসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ব্যারাকপুরে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলেন অর্জুন। কিন্তু ওই কেন্দ্রে এবারও দীনেশ ত্রিবেদীর উপরই আস্থা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর এহেন সিদ্ধান্তে প্রকাশ্যে রা না কাড়লেও অর্জুন ‘ক্ষুব্ধ’ হন বলে সূত্র মারফৎ জানা যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর এহেন সিদ্ধান্তের পরই বিজেপিতে অর্জুন সিংয়ের যোগদান ঘিরে জল্পনা ছড়ায়। এরপরই মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের হাত ধরে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন এই বাহুবলী নেতা।
এবার ব্যারাকপুরে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েছেন অর্জুন সিং। ভোটের দিন অর্জুনকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে। ভোট অশান্তির জেরে অর্জুনের ঠোঁট কেটে রক্তপাতও হয়। এমনকি, গত রবিবার বিধানসভা উপনির্বাচন ঘিরেও রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাটপাড়া। অর্জুনের বিরুদ্ধে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ভাটপাড়ায় অশান্তি প্রসঙ্গে অর্জুনের দাবি, ‘‘ভাটপাড়ায় তৃণমূল বোমা মারছে। বোমা বানাতে গিয়ে তৃণমূলের ৩-৪ জন মারা গিয়েছে’’। যদিও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাল্টা দাবি, ‘‘অর্জুন সিংয়ের দলবলই বোমাবাজি করছে। একজন মারা গিয়েছে, সে আমাদের লোক নয়। মদন মিত্রকে এবার নির্বাচন করতে দেয়নি। তবুও ওঁর ছেলে (অর্জুন-পুত্র পবন) হারবে’’।