/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/07/BJP-Suvendu.jpg)
BJP-Suvendu: বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিজেপি নেতৃত্বের মিছিল। (ছবি- শশী ঘোষ)
BJP CESE office extra electricity bill: বাড়ছে বিদ্যুতের বিল। ঊর্ধ্বমুখী সেই বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে এবার সিইএসইর সদর দফতর ভিক্টোরিয়া হাউসে অভিযান চালাল বিজেপি। নেতৃত্ব দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার তিনি ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ধর্না থেকে বলেন, 'বাড়তি বিদ্যুৎ বিল কীভাবে প্রত্যাহার করাতে হয়, বিজেপি সেটা জানে।
সিইএসসিকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাড়তি বিল প্রত্যাহারের জন্য সময় দিয়ে গেলাম। বিদ্যুতের বাড়তি মাশুল প্রত্যাহার করা না-হলে পাঁচ দিন ধরে ধরনা চালাব।' এর আগেই বিজেপি অভিযোগ করেছিল, নির্বাচনী বন্ডে সিইএসসির থেকে তৃণমূল কংগ্রেস টাকা নিয়েছে। আর, সেই টাকা সিইএসসি জনগণের পকেট কেটে তুলতে চাইছে।
অনুমতির জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি
বিজেপির আগের রাজ্য অফিস মুরলীধর সেন লেন থেকে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত এই মিছিলে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। বাধ্য হয়ে অনুমতির জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারী ধরনাস্থল থেকে বলেন, 'কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগিরি মডেল ইলেকট্রিক বিল পাশ হবে। তখন আর রাজ্যের এই একচেটিয়া ব্যবসা চলবে না।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/07/BJP-Rahul-Sinha.jpg)
ধরনাস্থলে উত্তর কলকাতার বিজেপি নেতা তাপস রায় অভিযোগ করেন, 'মনে যা আসছে, সেরকম বিদ্যুতের বিল পাঠিয়ে দিচ্ছে সিইএসসি। একমাসেই ২০ হাজার ৪০০ টাকার বিদ্যুতের বিল এসেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।' আদালতের নির্দেশ মেনে এই মিছিলে হাজারখানেক বিজেপি নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছিলেন। নেতাদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী, তাপস রায় ছাড়া ছিলেন রাহুল সিনহা, সজল ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, তমোঘ্ন ঘোষরা।
বিজেপির এই প্রতিবাদ, তৃণমূলের শহিদ দিবস বা ২১ জুলাইয়ের পরদিনই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এরপরই, অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। গত শুক্রবার সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে মিছিল আয়োজনের অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। মিছিলের আয়োজক ছিল উত্তর কলকাতা বিজেপি নেতৃত্ব।