পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার ২৪ ঘন্টা কাটার আগেই আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি, কংগ্রেস। এক দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পঞ্চায়েত ভোট, মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধি, অনলাইনের মনোনয়নের দাবিতে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করল পদ্ম ও হাত শিবির। দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে।
হাইকোর্ট সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরেই মামলার শুনানি হতে পারে।
কী দাবি বিজেপি ও কংগ্রেসের?
- রীতি মেনে নির্বাচন ঘোষণার আগে কোনও সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়নি। তড়িঘড়ি নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে।
- বৃহস্পতিবার ভোট ঘোষণার পরই শুক্রবার থেকে মনোনয়ন জমা শুরু হয়েছে। ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হবে। এই সময়সীমা অত্যন্ত কম বলে দাবি দুই বিরোধী দলেরই। কংগ্রেস, বিজেপির মতে, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোট মোট নির্বাচনী ক্ষেত্র দেখলে স্পষ্ট যে প্রতি কেন্দ্র পিছু মনোনয়নের জন্য মাত্র ৩৯ সেকেন্ড করে সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। যা কার্যত অসম্ভব।
- ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সেইসব উদাহরণ তুলে ধরে আবেদনকারীদের যুক্তি, ওই ভোটে বিরোধী বহু প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তা নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে।
- এক দফায় ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সুষ্ঠু এবং অবাধে ভোট হোক। সুরক্ষার স্বার্থে সব বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে আর্জি জানানো হয়েছে। অতীতে দেখা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনার রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখলেও ব্যাপক হিংসা হয়েছে। এবারও তার বদল হবে না।
- জেলার নির্বাচন পরিচালনার কেন্দ্রীয় অফিসে মনোনয়ন জমায় অসুবিধা হলে জেলা বিচারক বা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে মনোনয়ন জমা করার সুযোগ দেওয়া হোক।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'নির্বাচন পরিচালনা হবে খোকাবাবুর অফিস থেকে। তাই বশংবদ একজনকে কমিশনার করা হল। সময় কম দেওয়া হল মনোনয়নের জন্য। প্রথম রাউন্ডেই বিরোদীদের পরাজিত করার চেষ্টা হল। কেন রাত পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করতে পারা যাবে না?'
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'পুলিশের কাছে এতটা ক্ষমতাই নেই যে তারা প্রতিটা বুথকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে। এই কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমাও কম দেওয়া হয়েছে। আমরা কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।'