সুপ্রিম কোর্টে মুখ থুবড়ে পড়ার পরও টনক নড়ল না রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার জন্য প্রতি জেলায় মাত্র এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন। অর্থাৎ ২২ জেলায় ২২ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে তৎপর রাজীব সিনহা। কমিশনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফের সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল বিরোধী দলগুলো। কমিশনের বাহিনী দরবারকে 'প্রহসন' বলে দাবি তাদের। পাল্টা কোমর বাঁধছে বিজেপি, কংগ্রেস।
সাধারণত এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ১০০ থেকে ১০৫ জন সদস্য থাকেন। এর মধ্যে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজে লাগানো হয় কম-বেশি ৮০ জনকে। বিরোধীদের দাবি, যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী কমিশন চেয়েছে তা দিয়ে মোটেই শান্তিপূর্ণভাবে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, কমিশনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আবারও আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী দলগুলো।
এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সাধারণত ১০০ থেকে ১০৫ জন সদস্য থাকেন। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজে লাগানো হয় কম-বেশি ৮০ জনকে। বিরোধীদের দাবি, এটা মোটেই যথেষ্ট নয়। তাই আবার আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।
কমিশনের ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার পর পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আদালতের নির্দেশের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে যে, ভোটে বুথ, সেক্টর, থানা, স্ট্রং-রুম এবং গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে যৌথ ভাবে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। কোনও বাহিনীর বিরুদ্ধেই যাতে অভিযোগ না ওঠে, তাই এই সিদ্ধান্ত। প্রতি জেলায় ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। তাই আদালতের নির্দেশ যাতে সঠিক ভাবে প্রয়োগ হয়, সেই দাবিই আমরা হাই কোর্টে জানাব।'
আজ, বুধবার (২১.০৬.২০২৩) কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি রয়েছে। সেই মামলায় পক্ষ হিসাবে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুনানিতে শুভেন্দু বাহিনী নিয়ে কমিশনের 'অপ্রতুল' বাহিনী দরবারের বিষয়টি জানাতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশের পর ৮২৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছিল কমিশন। সেবার পাঁচ দফায় ভোট হয়েছিল। অর্থাৎ এক এক দফায় গড়ে প্রায় ১৬৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার ভোট হচ্ছে এক দফায়। আর সেই এক দফায় যত সংখ্যক বাহিনী চাওয়া হয়েছে, তার ২০১৩-র তুলনায় সাত ভাগের এক ভাগ।