জোর ধাক্কা বিরোধী দলনেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীর। শিশির-পুত্রের নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে প্রার্থীই পেল না বিজেপি। নন্দীগ্রামে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের বহু আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি গেরুয়া দল।
নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৮৫। যার মধ্যে ৬৬টি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ৩০টি। যার মধ্যে ৭টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি গেরুয়া দল। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের কেন্দেমারি পঞ্চায়েতের গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি আসনের একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি।
একইভাবে কালীচরণপুরে ১৭টি আসনের মধ্যে ১০টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনজন তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টির মধ্যে ৮টিতে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে। সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮টি আসনের মধ্যে ৮টিতে বিজেপি, মহম্মদপুরে ১৭ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের ১৭টির মধ্যে ১১ টি এবং ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫টি আসনের মধ্যে ২৩টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- কলকাতার পর্যটকের চরম পরিণতি দিঘায়! গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনায় শোরগোল!
গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টির আসনের মধ্যে মাত্র ৭টিতে প্রার্থী দিতে পেরেছে বিজেপি। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গোটা রাজ্যে তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ে বিজেপির অন্যতম প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী। সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে প্রায়শই গর্জে উঠতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। এহেন শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকেই বিজেপি পঞ্চায়েতের সব আসনে প্রার্থী দিতে না পারায় চর্চা বাড়ছে।
এদিকে, নন্দীগ্রামে তৃণমূলের অলিখিত দুটি গোষ্ঠীর তত্ত্ব সামনে এসেছে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীদের একাংশ 'অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ' তৈরি করে নির্দল হয়ে বহু আসনে প্রার্থী দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ এই অংশের সমর্থন চাইছে বিজেপি। খোদ শুভেন্দু অধিকারীই ঘুরিয়ে তাঁদের সমর্থন পেতে বার্তা দিয়েছেন। তবে নন্দীগ্রামে বিজেপি সব আসনে প্রার্থী দিতে না পারায় এলাকায় গেরুয়া দলের সাংগঠনিক শক্তি বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে।