বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু-মিছিল দেখছে গোটা দেশ। এখনও পর্যন্ত ২৭৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি। এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনায় কেন্দ্রকেই দুষছে বিরোধীদের একটি বড় অংশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পিছনে রেলের সমন্বয়ের অভাবকেই দায়ী করেছেন। যা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন এরাজ্যের বিজেপি নেতারা। সুকান্ত মজদুমদার থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষরা মমতার তোপ উড়িয়ে পাল্টা তাঁকেই বেনজির আক্রমণে সরব হয়েছেন।
কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথায়, 'মমতা ব্যানার্জি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখনকার আর এখনকার রেল একবার দেখুন। উনি আর লালু প্রসাদ রেলকে দুধওয়ালা গাই হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এখন একেবারে আধুনিক রেল হয়ে গেছে। যেমন স্পিড বেড়েছে, তেমন সুরক্ষা বেড়েছে এখন রোজ রোজ দুর্ঘটনা হয়না। অনেকেই সমালোচনা করতে পারে কিন্তু তাঁদের কার্যকালটাও একবার দেখা উচিত। তাঁরা তো নাটক করেছেন কাজ কোথায় করেছেন!'
আরও পড়ুন- পুরী গেলে ভুলেও ভুলবেন না এতল্লাট বেড়াতে, নিরিবিলি অসাধারণ পরিবেশ মন কাড়বেই!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুর্ঘটনার পিছনে রেল তথা কেন্দ্রকে আক্রমণ করায় সুর চড়িয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন রেলের কী অবস্থা ছিল সবাই জানেন। সব জায়গায় শিলান্যাস হতো। আর কিছুই হতো না। একটা প্রকল্পও শেষ হয়নি। পরে আমাদের সেই প্রকল্প শেষ করতে হয়েছে। ওঁর কথা দেশের মানুষ সিরিয়াসলি নেয় না।''
আরও পড়ুন- আজ জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব তিথি! মাহেশে কী দিয়ে স্নান সারলেন জগতের নাথ?
শনিবার বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে তিনি ঘুরে দেখেছেন দুর্ঘটনাস্থল। কথা বলেছেন উদ্ধারকারী দলের সঙ্গেও। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'দুর্ঘটনার পিছনে নিশ্চই কিছু আছে। রেলে মনে হয় সমন্বয়ের অভাব আছে। রেল মন্ত্রককে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা যাত্রীদের সুবিধা দিতে পারছেন না। অ্যান্টিকলিউশন ডিভাইস আমিই করে দিয়ে এসেছিলাম। সেটা ছিল না। থাকলে অ্যাক্সিডেন্ট হতো না।'