তৃণমূলকে বিঁধতে গিয়ে কবিতা লিখে ফেললেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করতে গিয়ে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ তুলে ফেসবুকে দিলীপ ঘোষের কবিতা পোস্ট এখন জোর চর্চায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শাসকদলের নেতাদের নিশানায় এ এক অন্য দিলীপের খোঁজ মিলল।
Advertisment
'তৃণমূলের সকল দুর্নীতি নিয়ে লিখতে বসলে অনায়াসে তা দিয়ে একটি 'দুর্নীতির মহাকাব্য' লেখা হয়ে যাবে।' ফেসবুকে হেডারে এই উক্তি লিখে টানা একটি কবিতা পোস্ট করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
''হায় হায় একি লজ্জা!!! ডাক্তারিও হয়ে গেল দুর্নীতির ধ্বজা মেধা থাকল ফর্মের গাদায়, ধুলোর মধ্যে পড়ে অযোগ্যরা ভর্তি হল শুধু নেতা-বাবার জোরে……''
নাম না করে দিলীপ ঘোষের পংক্তির এই ছত্রটি তৃণমূলে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে কটাক্ষ করেই, এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দিন কয়েক আগে শান্তনু সেনের মেয়ের আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ায় সুযোগ পাওয়া নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ওঠে। যোগ্য না হয়েও সাংসদ বাবার প্রভাবেই তাঁর মেয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ফেসবুকে পোস্ট করা কবিতায় দিলীপ ঘোষ সম্ভবত এই বিষটিরই উল্লেখ করতে চেয়েছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এছাড়াও চাকরির দাবিতে কলকাতার রাজপথ আঁকড়ে পড়ে থাকা তরুণ-তরুণীদের দাবিও স্থান পেয়েছে বিজেপি নেতার পংক্তিতে। কবিতার শেষ ছত্রে শাসকদলের বিরুদ্ধে পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতির টিপ্পনি দিয়ে সকলকে একত্র হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। শাসকদলের অবসান চেয়ে পংক্তিতে সরব মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ।
সব মিলিয়ে চেনা মেজাজের বাইরে গিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে এবার বোধ হয় কলমই ধরেছেন দিলীপ ঘোষ। যদিও দিলীপ ঘোষের এই উদ্যোগ নিয়ে বিজেপির অন্য নেতারা এখনও মুখ খোলেননি। তৃণমূলের তরফেও দিলীপ ঘোষের এই ফেসবুকে কবিতা পোস্টের পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।