Bengal BJP: উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য দাবি করে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লেখেন কার্শিয়াংয়ের দলীয় বিধায়ক। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য, ‘উত্তরবঙ্গ নিয়ে বিজেপির অবস্থান প্রত্যেকের জানা। আমরা মনে করি উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন হয়নি, পিছিয়ে পড়া অংশ। উত্তরবঙ্গ অবহেলিত। এসবের জন্য প্রশাসনিক অকর্মণ্যতা দায়ী। দায়ী পূর্বতন কংগ্রেস, বাম এবং বর্তমান তৃণমূল সরকার। তবে রাজ্য বিজেপি বিশ্বাস করে পশ্চিমবঙ্গের ভৌগলিক রেখা অক্ষুণ্ণ রেখে উত্তরবঙ্গে সুষম বিকাশ সম্ভব। এটা তৃণমূলের রাজত্বে সম্ভব নয়।‘
তাঁর আরও খোঁচা, ‘যদি কোনও বিধায়ক এবার চিঠি লিখে থাকেন, তিনি শুধু বিজেপির জনপ্রতিনিধি নয়, স্থানীয় মানুষের জনপ্রতিনিধি। তাই স্থানীয় মানুষের চাপ, আবেগ এবং চাওয়া-পাওয়াকে ছুঁতে চেয়েছেন ওই বিধায়ক। কিন্তু রাজ্য বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট।‘
এই চিঠি লেখা নিয়ে বিজেপি কি কোনও পদক্ষেপ নেবে দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে? এই প্রশ্নের জবাব শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সর্বভারতীয়, গণতান্ত্রিক দলের একজন বিধায়ক মানুষের দাবি-দাওয়া নিয়ে সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে চিঠি লিখলে সেটা দলবিরোধী কাজের মধ্যে পড়ে না।‘
এদিকে, পুরভোটের আগেই মাঠ ছাড়লেন কলকাতা দুই বিজেপি প্রার্থী। ছোট লালবাড়ি দখলের যুদ্ধ থেকে সরলেন ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের গেরুয়া প্রার্থী সদানন্দ পাঠক ও ১৩৪ নম্বরের প্রার্থী মুমতাজ আলি। শনিবার কলকাতা পুরনিগম ভোটের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। ওই দিনই এই এই দু’জন পদ্ম প্রার্থী হিসাবে তাঁদের নাম তুলে নিয়েছেন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, কলকাতায় মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। দুই বিজেপি প্রার্থী ছাড়াও মনোনয়ন তুলেছেন ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী, ৫ জন নির্দল প্রার্থী। এছাড়া ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী রতন মালাকার শুক্রবারই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন।
এবার পুরযুদ্ধে মুখে ছোট লালবাড়ি দখলের কথা বলছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু, খাস কলকাতার লড়াইতেই প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলে নিচ্ছেন, ময়দান ছাড়ছেন। কেন এই পরিণতি? বিজেপির দাবি, শাসক দল তৃণমূলের হুমকির মুখে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন সদানন্দ পাঠক ও মুমতাজ আলি।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি শঙ্কর শিকদার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেছেন, ‘আমি শুনেছি ১৩৩ ও ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে বিশদে জানি না। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলবো।’ এরপরই এই ঘটনার জন্য জোড়া-ফুলের উপর দায় ঠেলেছেন তিনি। শঙ্করবাবুর দাবি, ‘আমাদের প্রার্থীদের চাপ দেওয়া হচ্ছিল। বোধহয় বাবা-মা-কে বাড়িতে গিয়ে হুমকি ও মারধর করা হয়েছে। ফলে ওরা বাধ্য হয়েছে প্রার্থী পদ তুলে নিতে।’
বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলে নেওয়া এবং পদ্ম ব্রিগেডের তরফে শাসক শিবিরের উপর দায় ঠেলা প্রসঙ্গে অবশ্য এখনও মুখ খোলেনি তৃণমূল। উল্লেখ্য, এবার পুরভোটে যাতে মানুষ অবাধে ভোট দিতে পারেন, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ঘাস-ফুল শিবিরকে সতর্ক করে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন