রাজ্যের আপত্তি উড়িয়ে বুধে ধর্মতলায় শাহী সভা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সভা ঘিরে বঙ্গ বিজেপিতে তোড়জোড় তুঙ্গে। লোকসভা ভোটের কয়েকমাস আগে কলকাতায় অমিত শাহের এই সভার রাজনৈতিক গুরুত্বও অনেক, এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শাহী সভাকে কেন্দ্র করে তাকলাগানো উদ্যোগ এরাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের। সভাস্থলে রাখা হচ্ছে বেশ কিছু 'ড্রপ বক্স'। সেখানেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাওয়া লোকজন তাঁদের 'বঞ্চনা'র কথা চিঠিতে লিখে ফেলতে পারবেন।
আগামী বুধবার কলকাতার ধর্মতলায় অমিত শাহের সভা। শুরু থেকেই এই সভায় প্রবল আপত্তি জানিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। বাধ্য হয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। শেষমেশ আদালতের ছাড়পত্র পেয়েই শুরু হয় সভার তোড়জোড়। ইতিমধ্যেই ঘটা করে সভাস্থলে খুঁটিপুজো সেরেছে বিজেপি। যা নিয়ে কটাক্ষও ধেয়ে এসছে তৃণমূলের দিক থেকে। বিজেপি তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের কায়দাতেই খুঁটিপুজো সেরে সভা করছে বলে খোঁচা দিয়েছে জোড়াফুল।
তবে সেসব কটাক্ষকে পাত্তা দিচ্ছে না গেরুয়া শিবির। শুভেন্দু, সুকান্ত, দিলীপরা বরং অনেক বেশি ব্যস্ত বুধের শাহী সভা স্থল কানায় কানায় ভরিয়ে দিতে। জেলায় জেলায় চলছে প্রচারাভিযান। অমিত শাহের সভাস্থলে বেশ কিছু 'ড্রপ বক্স' রাখা হচ্ছে। সেই 'ড্রপ বক্স'গুলিতে কোন কোন প্রকল্প থেকে মানুষজন বঞ্চিত সে সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি ফেলার সুযোগ মিলবে।
আরও পড়ুন- এবার গোয়াকেও বিরাট টেক্কা দিঘার! পর্যটকদের ভরপুর মনোরঞ্জনে অভূতপূর্ব ব্যবস্থা!
বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে অমিত শাহের এই সভা রাজনৈতিক দিক থেকেও বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ২৯ নভেম্বর কলকাতায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে অমিত শাহের সভায় জেলাগুলিতে থেকেও বিপুল জমায়েত হবে বলে আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যেই গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার প্রচার-সভা চলছে জেলায়-জেলায়।