তৃণমূল বিধায়ককে ফাঁসানোর ছক! আপত্তিকর অবস্থায় মহিলার ভিডিও কল বিধায়ককে। পরে দিল্লি পুলিশের আধিকারিক পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ কলে বিধায়ককে 'ব্ল্যাকমেলিং'। ফোন কেটে সটান থানায় নালিশ চুঁচুঁড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। 'তাঁকে ফাঁসানোর ছক বিজেপির'। সরাসরি গেরুয়া দলকেই তোপ তৃণমূল নেতার।
পুলিশি পরিভাষায় এই ধরনের ফোন বা ভিডিও কলকে বলা হয় 'সেক্সটর্শন'। এবার 'সেক্সটর্শন'-এর শিকার চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। বিধায়ক জানিয়েছেন, ১২ তারিখ সকালে একটি অচেনা নম্বর থেকে তাঁর ফোনে ভিডিও কল আসে। বিধায়ক সেই কলটি ধরে ফেলেন। সেই কল রিসিভ করতেই চক্ষু চড়কগাছ হয় তাঁর। ফোনের অপরপ্রান্তে তখন এক অচেনা মহিলা বিবস্ত্র অবস্থায় দাঁড়িয়েছিলেন।
সঙ্গে-সঙ্গে ফোনটি কেটে দেন অসিতবাবু। পরে ক্রমাগত ওই মহিলা তাঁকে ভিডিও কল করতে থাকলে বিধায়ক কল রিসিভ করে তাঁকে 'সাবধান' করেন। আর তাঁকে ফোন করতে নিষেধও করেন। পরে নম্বরটি ব্লকও করে দেন অসিত মজুমদার।
আরও পড়ুন- ‘ফাঁদে ফেলতে ব্যর্থ, তাই গায়ে জ্বালা’, অভিষেককে তিহাড় জেলে পোরার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
এই ঘটনা নাটকীয় রূপ নেয় ঠিক তার পরের দিন। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে আরও একটি কল আসে বিধায়কের মোবাইলে। এবার ফোনের অপর প্রান্তে থাকা এক ব্যক্তি নিজেকে দিল্লি পুলিশের আধিকারিক পরিচয় দেন। তাঁর ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ওই ব্যক্তি। অসিত মজুমদার ওই ব্যক্তিকে হোয়াটসঅ্যাপ কল না করে ফোনে তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে বলেন।
আরও পড়ুন- আজও দিনভর দফায়-দফায় বৃষ্টি, বিকেল থেকে আরও বাড়বে বর্ষণ
কিন্তু এরপরেও ওই ব্যক্তি সরাসরি ফোন না করে ক্রমাগত হোয়াটসঅ্যাপ কলই করতে থাকেন বিধায়ককে। বিধায়ক আর ফোন ধরেননি। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। অসিত মজুমদারের অভিযোগ, 'তাঁকে ফাঁসাতেই এই কাজ বিজেপির'। যদিও বিজেপি তৃণমূল বিধায়কের তোলা এই অভিযোগ উড়িয়েছে।
দলের রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, ''বিজেপি এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। ওই কালচার আমাদের দলে নেই, ওটা তৃণমূলের আছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে।'' যদিও চন্দননগর কমিশনারেটের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিধায়কের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।