বড়সড় স্বস্তি পেলেন মুকুল রায়। বড়বাজারে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। মুকুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। যা চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুকুল। দিল্লি হাইকোর্ট সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠায়। উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই মুকুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
এর আগে এই মামলার তদন্তে মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে কলকাতা পুলিশ। দুর্নীতি মামলায় বিজেপি নেতার দিল্লির বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় কলকাতা পুলিশের।
আরও পড়ুন: ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমার সবথেকে বেশি ক্ষতি করেছেন’
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মুকুল রায়কে নোটিস দেয় লালবাজার। পাশাপাশি ব্যাঙ্কশাল আদালতে মুকুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর পাল্টা হিসেবে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুকুল। মুকুলকে আগেই স্বস্তি দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। মুকুলের গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি মুকুলকে ১০ দিনের রক্ষাকবচ দেয় হাইকোর্ট। তবে তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করতে মুকুলকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: মুকুলের বড় পরাজয়! হাসছেন অভিষেক
কেন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-এর ৩১ জুলাই বড়বাজার থানায় প্রতারণা ও দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে একটা এফআইআর দায়ের হয়। এরপর একজন সরকারি কর্মীর কাছ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। সেই মামলার তদন্তের সময়েই মুকুল রায়ের নাম উঠে আসে বলে পুলিশের দাবি। এরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ১৬০ ধারায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুকুল রায়কে নোটিস পাঠিয়ে তলব করে কলকাতা পুলিশ। তবে মুকুল রায় এখন দিল্লির বাসিন্দা। তিনি দিল্লিরই ভোটার। দিল্লিতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়ে দেন মুকুল রায়। এদিকে ২০১৮ সালের ওই নোটিস অনুযায়ী মুকুল রায় হাজির না দেওয়ায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আবেদন করে কলকাতা পুলিশ। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই মুখ্য নগরদায়রা বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।