স্বস্তি পেলেন মুকুল রায়। লাভপুর হত্যা মামলায় বিজেপি নেতার গ্রেফতারির উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শীতাবকাশের ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত মুকুলকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালতের আরও নির্দেশে বলা হয়েছে, লাভপুর, বোলপুর এবং শান্তিনিকেতন এই তিন থানা এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না মুকুল রায়। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। সূত্র মারফৎ এমনটাই খবর।
EXCLUSIVE: বিস্ফোরক বৈশাখী: ‘শোভনের জন্যই আমাকে সরানো হল! ও আমার ক্ষমতার স্তম্ভ’
উল্লেখ্য, লাভপুরে তিন সিপিএম সমর্থক ভাইকে খুনের ঘটনায় কিছুদিন আগে অতিরিক্ত চার্জশিটে মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর। এই মামলায় প্রথম থেকেই অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মণিরুল ইসলাম। তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ডের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই প্রেক্ষিতেই আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুকুল। কিন্তু বিজেপি নেতার ‘আবেদন ত্রুটিপূর্ণ’ হওয়ায় আগে সেই আর্জি কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করেছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: বিজেপির মিছিলে রণক্ষেত্র হাওড়া, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে লাভপুরের বুনিয়াডাঙা গ্রামে সিপিএম সমর্থক বলে পরিচিত তিন ভাইকে খুনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় নাম জড়ায় প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামের। এই মামলায় প্রথম চার্জশিটে মুকুলের নাম ছিল না। ক’দিন আগে এই খুনের মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিটে মণিরুলের পাশাপাশি মুকুল রায়ের নাম রাখা হয়। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পর দলবদলের স্রোতে মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন লাভপুরের বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। কিন্তু ‘খুন-সন্ত্রাসে’ অভিযুক্ত মণিরুলকে দলে নেওয়া নিয়ে বিজেপির একাংশেই ‘অসন্তোষ’ তৈরি হয়।