ভোট পরবর্তী হিংসার বলি আরও ১। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ। নিহত ভগবানপুর ১ ব্লকের মহম্মদপুর ১ অঞ্চলের বিজেপি শক্তিকেন্দ্রের প্রমুখ শম্ভু মাইতি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ বিজেপির। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
ভাইফোঁটার দিন বাড়িতে একাই ছিলেন ভগবানপুরের বিজেপি নেতা শম্ভু মাইতি। ঠিক সেই সময়ে বাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়েছে। দেড়িয়া দিঘি নান্টু প্রধানের কলেজের কাছে তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভগবানপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে শারীরিক অবস্থার অবনতিতে পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি নেতার। স্থানীয় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। দলের তমলুক জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বলেন, 'নান্টু প্রধানের কলেজে মারধর করে বাইরে ফেলে দিয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে জবানবন্দি নিয়েছে। ভগবানপুরের সব তৃণমূল নেতা এই ঘটনায় জড়িত। একুশের ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমণ চলছে। আগেও আমাদের বহু ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে, তাঁদের দোকান ভেঙেছে। পুলিশ সব জানে তাও কিছু করেনি।'
আরও পড়ুন- রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল: সুব্রতর পঞ্চায়েতে মমতাই, অর্থ দফতরে কে? ক্যাবিনেটে নতুন মুখ কারা?
দলীয় নেতা খুনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। তবে বিজেপির তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই ঘটনায় দলের কারও যোগ নেই বলেই দাবি এলাকার তৃণমূল নেতাদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন