নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার গ্রেফতার যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। কুন্তলের সঙ্গে বিভিন সময়ে কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও আবার ব্রাত্য বসু কখনও সায়নী ঘোষদের ছবি দেখা গিয়েছে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এবার বোমা ফাটালেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রথীন্দ্র বোস। 'দেখুন কি দুর্দশা। দিদির সুরক্ষা কবচ লাগিয়েছিল কুন্তল। ত্রিপুরায় গিয়ে "খেলা হবে" পোস্টার লাগিয়েছিল। কিন্তু দেখুন কি অবস্থা। সুরক্ষা কবচ পেয়েও ইডির হাতে ধরা পড়ে গেল।' রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধনা করে সোচ্চার বিজেপি নেতা।
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। টানা প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। তারপরেই যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদককে গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তে অসহযোগিতার জেরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হুগলির এই যুব তৃণমল নেতার বিরদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। এদিন গ্রেফতার হওয়ার পর সেই তাপসের বিরুদ্ধেই শোরগোল ফেলা অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল নেতা।
মানিক ভট্টাচার্যকে ঘুষ দেননি বলেই নাকি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, ইডির হাতে গ্রেফতারের পরেই সাংবাদিকদের সামনে এই অভিযোগ করেছেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এই কুন্তলের সঙ্গেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন সময়ে নানা ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি রথীন্দ্র বোস। কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িযে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে কুন্তলকে। কখনও আবার কোনও অনুষ্ঠান মঞ্চে তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যাচ্ছে যুব নেতাকে।
একটি ছবিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে কুন্তলকে। আবার কুন্তলের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকেও। শুধু তাই নয়, একটি ছবিতে কুন্তলের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে মমতা ব্যানার্জির ভ্রাতৃবধূকেও। যদিও ছবিগুলির সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিযান এক্সপ্রেস বাংলা।
আরও পড়ুন- ‘টাকা দিইনি বলেই আমার এই হাল’, নিয়োগ-দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েই কাকে নিশানা কুন্তলের?
টুইটে বিজেপি নেতা রথীন্দ্র বোস এই ছবিগুলি পোস্ট করে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলকে। টুইটে শাসকদলকে টিপ্পনি কেটে তিনি লিখেছেন, 'তৃণমূলের লোকেরা বলছে এ নাকি ছোট নেতা (ছোট নেতার কাছেই ১৯ কোটি!!!)। কিন্তু এই ছোট নেতাই কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়া দত্ত, সায়নী ঘোষ, ব্রাত্য বসু, স্নেহাশিস চক্রবর্তী কিংবা কখনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃ বধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে! সাদা মনে প্রশ্ন এলো, সাধারণ মানুষ কি এমন করে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পারে?'