Suvendu Adhikari on CAA: ভারতজুড়ে কার্যকর হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করল বিজেপি। মতুয়া অধ্যুষিত উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দক্ষিণবঙ্গের বনগাঁ, রানাঘাট চলছে উৎসব। বাংলায় ভোট বৈতরণী পেরতে বাড়তি অক্সিজেন জুটল বলেই মনে করছে পদ্ম বাহিনী। অন্যদিকে সিএএ-কে 'জুমলা' বলে মঙ্গলবার হাবড়ায় দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন সিএএ-এর আইনি বৈধতা নিয়েও। ফের ঘোষণা করেছেন যে, বাংলায় সিএএ, এনআরসি লাগু করতে দেবে না রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে প্রাণ দিতেও তৈরি তিনি। তবে, একেবারে উল্টো মত এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, সিএএ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন। কিন্তু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন আসলে নারগিকত্ দেওয়ার আইন। এতে হিন্দু উদ্বাস্তুতে নাগরিক বলে সিলমোহর দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী দাবি, সিএএ-র ফলে দেশের মুসলিমরা আতঙ্কিত, মূলত তাঁদের নিশানা করেই বিজেপি সরকার এই আইন লাগু করেছে।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee on CAA: ‘সিএএ-তে দরখাস্ত করলেই নাগরিকত্ব বাতিল, বাঙালি বিতারনের খেলা’, বোঝালেন মমতা
তৃণমূল সুপ্রিমোর যুক্তি খণ্ডনে দেশের মুসলিম চাচা, ভাই, বোনদের কাছে সিএএ আসলে কী তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার কথায়, 'এটা কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। আমি ২৮ লাখ মানুষের জনপ্রতিনিধি ও সাংবিধানিক পদে থেকে এ রাজ্যের সব মুসলমান চাচা, ভাই, বোনদের বলছি- এজনও অসুবিধান মধ্যে পড়লে আমি আছি। এই আইন পুরোপুরি উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন।' এরপরই তৃণমূলকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, 'ভুল বোঝালে কাজ হবে না। সোমবার বিকেলে আইন কার্যক হয়েছে, দেখান দেখি একজনেরও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।'
সিএএ লাগুর পর সোমবার সন্ধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে মতুয়া সমাজের ধ্বনি ‘হরি বোল’ লিখে পোস্ট করেন। জানান, 'মোদির গ্যারান্টি মানে প্রতিশ্রুতি পূরণের গ্যারান্টি। ধর্মীয় কারণে ১৯৪৫ সাল থেকে উৎপীড়িত জনগোষ্ঠী মতুয়ারা সমনাগরিকত্বের দাবিতে সরব হয়েছেন। আজ অপেক্ষার অবসান হল।'
বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'আগেই আইন হয়ে গিয়েছিল। বিধি জারি করাটাই বাকি। যাঁরা ধর্মীয় কারণে ওপার থেকে এপারে এসেছেন, তাঁরা, তাঁরা নাগরিত্ব পাবেন। এবার প্রমাণ হয়ে যাবে উনি (মমতা) মুসলিমদের মিথ্যা কথা বলে উসকেছিলেন। এনিয়ে ওঁর বক্তব্য়ে বরাবরই উসকানিমূলক।'