যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী কার্যকলাপ চলে। এই অভিযোগে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যাদবপুরে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছিল। সেখানে কালো পতাকা দেখানোর পর এক বিক্ষোভকারী নিজেকে মাওবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি বলে দাবি করেছিলেন। সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, যাদবপুরে তাঁর ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল মাওবাদীরা। নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, রাজ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মাদকচক্রেরও যোগসাজশ রয়েছে। এই সব অভিযোগে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মামলাটি তুলেছেন। প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। খতিয়ে দেখার পর মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এনিয়ে যাদবপুরের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। তার মধ্যে একটি মামলা দায়ের করেছেন বিজেপির মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়িও।
তৃণমূল কংগ্রেসে থাকার সময় থেকেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সক্রিয়তা দেখিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। জঙ্গলমহলকে শান্ত করতে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সংগঠন সাজানোয় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেই সব কারণে বহুদিন ধরেই মাওবাদীদের নিশানায় রয়েছেন বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছে বিজেপি যুব মোর্চা ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভে সরব হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- বাঙালি ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে খুনের মামলা দায়ের কলকাতা পুলিশের, ভাইজাগ যেতে পারেন তদন্তকারীরা
আচমকা তাঁকে কালো পতাকা দেখান মাওবাদীদের প্রভাবিত ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। পালটা ওই বিক্ষোভকারীদের থাপ্পড়, লাথি মারার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার রক্ষী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিজেপি যুব মোর্চার সদস্যদের সঙ্গে রীতিমতো মারামারি করতে দেখা যায় এক বিক্ষোভকারীকে। পালটা, যুব মোর্চার প্রতিবাদ সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'আমরা এখান থেকে টুকরে টুকরে গ্যাং, দেশবিরোধী শক্তি, চিন যাদের বাপ-মা আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যার গার্জেন, তাদের আমরা উৎখাত করব।' আর, তারপরই সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে দেখা গেল।