প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ দিকে দিকে। বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে বিজেপি। বঙ্গ বিজয়ের লক্ষ্যে তৃণমূলত্যাগী নেতাদেরই টিকিট দিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে গেরুয়া শিবির। সর্বত্র বিক্ষোভ-প্রতিবাদ তো ছিলই। দলত্যাগও হয়েছে কিছু জায়গায়। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে রেললাইনে গলা দিতে গেলেন এক বিজেপি নেতা। হুগলি জেলায় লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী তালিকায় প্রভাব খাটিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর দুঃখে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ত্রিবেণীর স্থানীয় বিজেপি নেতা নিরুপম মুখোপাধ্যায়। যার জেরে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য।
অনেক বোঝানোর পর তাঁকে নিরস্ত করতে সমর্থ হন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় জিআরপি। কিন্তু দমার পাত্র নন নিরুপম বাবু। হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, আদি বিজেপি কর্মীদের গুরুত্ব না দিলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গায়ে আগুন দেবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রবিবারই রাজ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। হুগলি জেলায় একাধিক তৃণমূলত্যাগী নেতাকে প্রার্থী করা হয়েছে। সিঙ্গুরে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, উত্তরপাড়াতে প্রবীর ঘোষালকে প্রার্থী করা হয়েছে। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে চুঁচুড়া কেন্দ্রে প্রার্থী করায় ক্ষোভে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুবীর নাগ।
এবার ত্রিবেণীতে যেটা হয়েছে তাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জেলার সহ-সভাপতি দেবব্রত বিশ্বাস। চুঁচুড়া-মগরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পরেই সপ্তগ্রাম আসনে তাঁর নাম ভেসে উঠেছে। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে হুগলি জেলায়। জেলার ১৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি, শুধু সপ্তগ্রাম আসন ছাড়া।
দেবব্রতকে প্রার্থী করা হতে পারে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিক্ষোভ। বিজেপির মৎস্যজীবী সেলের আহ্বায়ক নিরুপমবাবুর অভিযোগ, প্রার্থী চূড়ান্ত করার আগে দলের কর্মীদের মতামত নেওয়া হয়নি। এতদিন ধরে কাজ করার পরেও পরিশ্রমের কোনও মূল্য নেই শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। তাঁর অভিযোগ, লকেটের কলকাঠিতে উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতাদের টিকিট দিচ্ছে দল।