কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপির শহর মণ্ডল সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। দিনহাটা পশু হাসপাতালের বারান্দায় আজ, বুধবার সকালে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপির অভিযোগ, পরিকল্পতভাবে খুন করা হয়েছে মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকারকে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিন পুলিশ দেহ নামাতে গেলে বিজেপি কর্মীরা বাধা দেন। এই নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দফায় সংঘর্ষ বাধে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব়্যাফ নামানো হয়। এখন থমথমে রয়েছে এলাকা।
পরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনাস্থলে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়। উত্তেজনা ছড়ায় অন্যত্রও। দিনহাটায় তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহর অফিসে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এরপর শুরু হয়ে যায় ধুন্ধুমার। দিনহাটা থানার সামনে অনুগামীদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন উদয়ন গুহ।
ঘটনাস্থলে যান দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি দলীয় কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে নিশীথের বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই বিজেপি নেতা। তারপর বাড়ি ফেরেন রাত ১১টার সময়। কিন্তু পরে স্ত্রী খেয়াল করেন, ঘরে নেই তাঁর স্বামী। এরপর সকালে পশু হাসপাতালের বারান্দায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বিজেপি নেতার।
বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের অভিযোগ, বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে অমিত সরকারকে। কারণ ঝুলন্ত দেহর পা মাটিতে ছিল। তাতে অনুমান, কোনওভাবেই এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। পাল্টা দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহর অভিযোগ, যদি বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে চিৎকার করলেন না কেন ওই বিজেপি নেতা। বরং নিশীথ প্রামাণিকের বাড়িতে গিয়ে চরম অপমানিত হয়ে এমন কাজ করেছেন ওই বিজেপি নেতা, দাবি উদয়নের।