বুলবুল বিধ্বস্ত রাজ্যের উপকূলভাগের বিস্তীর্ণ এলাকা। লন্ডভন্ড লোকালয়। ইতিমধ্যেই বকখালি পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন তিনি। বুলবুল তাণ্ডবে বিধ্বস্ত এলাকাবাসীদের নিয়ে ‘কেউ কেউ রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে পারে’বলে এবার জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি পুলিশ আধিকারিকদেরও এ ব্যাপারে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ ধরনের কোনও ঘটনা সামনে এলে, তা অবিলম্বে জেলা টাস্ক ফোর্সকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, এসবের পরেও ত্রাণ নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুললো বিজেপি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ বুলবুল বিধ্বস্ত নামখানায় গেলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সহ বিজেপির প্রতিনিধি দল।
ইতিমধ্যেই, দুই ২৪ পরগনায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন রাজ্য বিজেপির দুই নেতা সব্যসাচী দত্ত ও সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। বসিরহাট মহকুমায় ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই নেতা। তাঁর কথায়, 'বাম আমলে যে অভিযোগ ছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে, এখন তাই করছে তৃণমূল। শাসক দলের সমর্থক হলেই একমাত্র ত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সামনেই বিডিও-কে এক মহিলা ত্রাণ না পেয়ে অভিযোগ করছিলেন।' রাজ্য সরকারকে দুষে সব্যসাচী বলেন, 'নবান্ন থেকে বলা হয়েছিল বাবুল ঝড় মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড়ের ৪৮ ঘন্টা পরেও চারদিকে হাহাকার। এমনকি বিদ্যুৎ-ও নেই এলাকায়। এরপরও সররকার বলছে প্রশাসন ভালো কাজ করছে।'
আরও পড়ুন: ‘সরকার পাশে আছে’, বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় বরাভয় মমতার
বুধবার সকালে তিনি বলেন, 'রাজ্য সরকার কি ত্রাণ দিল তার নজরদারিতে ওই এলাকায় আমি যাচ্ছি না। আমি যাচ্ছি প্রকৃত পরিস্থিত খতিয়ে দেখতে।' ত্রাণ নিয়ে যাতে রাজনীতি না হয় তার জনয রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'প্রধানমন্ত্রীকে দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।' নামখানায় বাবুল সুপ্রিয়র গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চালান গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীরা তৃণমূলের কর্মী, সমর্থক বলে দাবি বিজেপির।
আরও পড়ুন: বুলবুল মোকাবিলায় ‘তৎপর’ মমতার প্রশংসায় রাজ্যপাল
শনিবার রাতে বাংলার উপকূলে আয়লা আছড়ে পড়ে। রাজ্যের উপকূলভাগের বিস্তীর্ণ এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। প্রাণ যায় বেশ কয়েয় জনের। এরপর রবিবার সকালে বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় প্রধাননমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। বাংলাকে পর্যপ্ত সাহায্যের আশ্বাস দেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই, দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের নেতা, কর্মীদের বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে গেরুয়া শিবির। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ দাস বলেন, 'ত্রাণের অর্থ দুর্গতদের বদলে পৌঁছে যাচ্ছে তৃণমূলল নেতাদের কাছে। তাদের কপাল খুলে গিয়েছে। আমরা একটি রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রের কাছে পাঠাবো।'
Read the full story in English