পরকীয়া মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন চন্দনা বাউড়ি। শালতোড়ার বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয় বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায়। সেই মামলায় নিষ্কৃতি পেতে কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন চন্দনা।
শুক্রবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আপাতত পুলিশ চন্দনার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। গ্রেফতারিতে ৮ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। এর আগে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চন্দনা। তারপর তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি দেয় নিম্ন আদালত। সেই এফআইআর খারিজ করার আবেদন করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন চন্দনা।
এদিন সেই মামলায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে শুনানি হয়। বিচারপতি জানিয়ে দেন, অন্তত ৮ সপ্তাহ পুলিশ বিধায়কের বিরুদ্ধে কোও পদক্ষেপ করতে পারবে না। চন্দনা বাউড়ির আইনজীবী সোমনাথ অধিকারী জানিয়েছেন, বিধানসভায় জেতার পর থেকে নানাভাবে প্রলোভন দেখানো হয় তাঁর মক্কেলকে। মিথ্যা এফআইআর-ও দায়ের করা হয়। এফআইআর দায়ের করেন চন্দনার গাড়ির চালক তথা শালতোড়ার বিজেপির সহ-আহ্বায়ক কৃষ্ণ কুণ্ডর স্ত্রী রুম্পা। সেই এফআইআর খারিজ করার আবেদন করি আমরা। আদালত এদিন ৮ সপ্তাহের স্থগিতদেশ দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দুবার চন্দনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে পুলিশ। আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় তদন্ত করার অধিকার নেই পুলিশের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৯ অগস্ট শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি ও ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির সহ-আহ্বায়ক তথা তাঁর গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর পরকীয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া ও বিয়ের অভিযোগ দায়ের করেন রুম্পা।
আরও পড়ুন পরকীয়া মামলায় বাঁকুড়া আদালতে আত্মসমর্পণের আর্জি চন্দনার, বারাসতে যেতে বললেন বিচারক
অভিযোগ, লুকিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেন দুজনে। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেন চন্দনা ও তাঁর স্বামী শ্রবণ। পাল্টা চন্দনাদেবী ফেসবুক লাইভ করে জানান, স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জেরে থানায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরকীয়ার অভিযোগ মিথ্যা। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন