পরকীয়া মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আত্মসমর্পণ করতে গিয়েও ধাক্কা। বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়িকে ফিরিয়ে দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। তাঁকে বারাসতের আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। বিচারকের নির্দেশ, বারাসতে সাংসদ-বিধায়কদের জন্য নির্দিষ্ট এজলাসে আত্মসমর্পণ করতে হবে। যার জেরে আত্মসমর্পণের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন শালতোড়ার বিধায়কের আইনজীবী লোকেশ মুখোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য আবেদন করেন চন্দনার আইনজীবী। আদালতে যান শালতোড়ার বিধায়ক। কিন্তু আপত্তি জানান সরকারি কৌঁসুলি। তিনি বিচারককে জানান, বারাসতে সাংসদ ও বিধায়কদের জন্য বিশেষ আদালত রয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। এরপরই আবেদন প্রত্যাহার করে নেন চন্দনার আইনজীবী।
তবে এদিন আর বিশেষ কিছু হয়নি। তিনি কবে বারাসতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করবেন তা বিজেপির আইনজীবী সেল ঠিক করবে তার পর জানা যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন চন্দনার আইনজীবী। লোকেশবাবু সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, চন্দনা বাউড়ি আত্মসমর্পণ করতে এসেছিলেন। কিন্ত সরকারি কৌঁসুলি একটি বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে বলেন, সাংসদ এবং বিধায়কদের জন্য বারাসতে বিশেষ আদালত রয়েছে। তাই আবেদন প্রত্যাহার করা হয় এদিন।
আরও পড়ুন চন্দনা বাউড়ির সঙ্গে পরকীয়া বিতর্কের মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি বিজেপি কর্মী কৃষ্ণ কুণ্ডু
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৯ অগস্ট শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি ও ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির সহ-আহ্বায়ক তথা তাঁর গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর পরকীয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া ও বিয়ের অভিযোগ দায়ের করেন রুম্পা।
আরও পড়ুন লুকিয়ে বিজেপি কর্মীকে বিয়ে! পরকীয়ার অভিযোগে বিদ্ধ বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি
অভিযোগ, লুকিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেন দুজনে। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেন চন্দনা ও তাঁর স্বামী শ্রবণ। পাল্টা চন্দনাদেবী ফেসবুক লাইভ করে জানান, স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জেরে থানায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরকীয়ার অভিযোগ মিথ্যা। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। সেই মামলাতেই এদিন বাঁকুড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যান চন্দনা বাউড়ি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন