কয়েকদিন আগেই দলের কর্মীর সঙ্গে পরকীয়া ও মন্দিরে বিয়ের অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছিলেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। বিতর্কের মধ্যেই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মী কৃষ্ণ কুণ্ডু ভর্তি হলেন হাসপাতালে। গতকাল রাতে বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। এমনটাই খবর তাঁর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু সূত্রে পাওয়া গিয়েছে। অসুস্থ স্বামীর সঙ্গে তিনি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া ও বিয়ের অভিযোগ দায়ের করেন রুম্পা। অভিযোগ, লুকিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেন দুজনে। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেন চন্দনা ও তাঁর স্বামী শ্রবণ। পাল্টা চন্দনাদেবী ফেসবুক লাইভ করে জানান, স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জেরে থানায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরকীয়ার অভিযোগ মিথ্যা। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
তারপরই নাকি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাপ দেওয়া হয় কৃষ্ণকে। তাঁর পরিবারের দাবি, মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কৃষ্ণ। রুম্পার অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতে তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়। তবে কারা মারধর করেছে সে ব্যাপারে কিছু বলেননি তিনি। শনিবার সকাল থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, শরীরে ব্যথা শুরু হয়। এরপর রাতে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন লুকিয়ে বিজেপি কর্মীকে বিয়ে! পরকীয়ার অভিযোগে বিদ্ধ বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি
রুম্পা স্বামী কৃষ্ণ ও বিধায়ক চন্দনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু স্বামী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তিনি স্বামীর পাশেই রয়েছেন। তবে কারা তাঁর স্বামীকে মারল, কেন মারল সে নিয়ে বেশি কিছু বলতে চান না রুম্পা। তা নিয়েই রহস্য দানা বেঁধেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন