খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের দলবদলের জল্পনা চরমে। তার মধ্যেই শুক্রবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে নিজাম প্যালেসে বৈঠক করেছিলেন হিরণ। আর শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিধায়ক নিজেই জানালেন যে, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে তাঁর ছবি নিয়ে যে শোরগোল পড়েছে তা 'বিকৃত' বলে দাবি করছেন হিরণ।
এদিনের সাংবদিক বৈঠকে আগাগোড়াই তৃণমূলকে নিশানা করেন খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক। তৃণমূলকে 'চোর, দুর্নীতি, অপশাসনে'র দল বলে কটাক্ষ করেন হিরণ। তাঁর দাবি, সৎ মানুষেরা তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে ধরবে না।
হিরণ কী সত্যিই অভিষেকের দফতরে গিয়েছিলেন? জবাবে বিধায়ক বলেন, 'এখন ছবি নিয়ে কথা হচ্ছে। হয়তো দেখা যাবে কিছুদিন পরই ভিডিও এলো। আরআর সিনেমা সকলেই দেখেছেন। আজকের যুগ আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের। কারিগরি প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক কিছুই করা যায়।'
তৃণমূলে থাকাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হিরণের সম্পর্ক ভালো ছিল। সেকথা এদিন স্বীকারও করেছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে তিনি যাননি বলেও দাবি করেছেন। বলেছেন, 'আমার সঙ্গে ২০১৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ওনার (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) যোগাযোগ ছিল। আমরা একসঙ্গে বাংলা ঘুরেছি, খেয়েছি, নানা কাজ করেছি। কিন্তু ২০২১ সালের পর থেকে আর যগাযোগ নেই।'
আরও পড়ুন- ‘দাদার টাকা কোথায় ঢালছেন দিদি?’ শুভেন্দুর মারাত্মক ‘তথ্যে’ তোলপাড়
মিঠুন চক্রবর্তীর দাবি ছিল 'তৃণমূলের সকলে চোর নয়'। হিরণের মুখেও একই কথা শোনা গেল শনিবার। রীতিমত হুঙ্কারের সুরে খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক বলেন, 'তৃণণূলের অনের সৎ নেতা আছেন। তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন। তাঁদের অনেকেই বলছেন, বিজেপি জানালার একটু খিরকি খুললে হাওয়া বাতাসের মতো তৃণমূলের অনেরক বিধায়ক, নেতা আমাদের দলে যোগ দেবেন। বিজেপির আদর্শ মেনেই তাঁরা যোগদান করবেন।'
হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের এই হুঙ্কার আদতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা বলেই মনে করা হচ্ছে। ডিসেম্বরের গোড়ায় কাঁথির সভা থেকে দলে যোগদানের জন্য তৃণমূলের ‘দরজা খোলা’র কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
'ফেক ছবি' প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়কের দাবি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেছেন, 'মানুষ যে এমন ডবল স্ট্যান্ডার্ড হয় তা ওকে না দেখলে বোঝা যায় না। আমরা নয়, ছবি বিক্রিত করেছে বিজেপি।'