তৃণমূলের 'কেন্দ্রীয়-বঞ্চনা' ধর্নামঞ্চে হাজির বিজেপি বিধায়ক। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ইস্যুতে তৃণমূলের সঙ্গে একমত গেরুয়া দলের বিধায়ক। 'কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে বকেয়া আদায় করুক রাজ্য', ভরা মঞ্চে মাইক হাতে পরামর্শ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের। শসাকদলের ধর্না মঞ্চে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিধায়কের এহেন উপস্থিতি চর্চা তুঙ্গে তুলেছে।
আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে রবিবার রাজ্যজুড়ে প্রতি জেলার ব্লকে ব্লকে ধর্না কর্মসূচির ডাক দেয় তৃণমূল। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি। শহর কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় ধর্না মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল শাসকদলের নেতা কর্মীরা। কলকাতা শহরের উল্টোডাঙা, বাগবাজার, ভবানীপুর, চেতলা-সহ জায়গায় জায়গায় চলে ধর্না কর্মসূচি।
এরই পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেও চলে কেন্দ্র বিরোধী এই ধর্না। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় সটান উপস্থিত হন তৃণমূলের ধর্না মঞ্চে। ধর্নামঞ্চে গিয়ে বিক্ষোভরত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সুরেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হন বিজেপি বিধায়ক।
আরও পড়ুন- ‘২৬-এর পর দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে বলে মনে হয় না’, কীসের ইঙ্গিত মদনের?
গেরুয়া দলের বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় এদিন বলেন, 'এব্যাপারে আমি একমত। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে বকেয়া আদায় করুক রাজ্য। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বসে ঠিক করুক কেন বাংলার মানুষের টাকাটা পাচ্ছে না। দায়িত্ব দুই সরকারের। বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের সঙ্গে আমি একমত।'
রবিবার সকালে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চের পাশ দিয়েই যাচ্ছিলেন গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক। প্রথমে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। গাড়ি থেকে নেমে এরপর শাসকদলের ধর্নামঞ্চে গিয়ে হাজির হন বিজেপি বিধায়ক।
আরও পড়ুন- একক শক্তিতে ব্রিগেড SUCI-এর, অভিনন্দনের আড়ালে কী কৌশল তৃণমূলের?
এর আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে শাসকদলের এই ধর্না কর্মসূচিতে বিজেপি বিধায়কদেরও যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর এই বার্তা কি তবে কাজে দিল? উত্তরটা স্পষ্ট না হলেও গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি কিন্ত জোর চর্চায়।