পেয়ারার জন্য জগৎজোড়া খ্যাতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের। এই বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভার সব সদস্যদের জন্য সাধ করে তিনি এনেছিলেন প্লাসটিকের থলি ভর্তি পেয়ারা। যা পেয়ে শাসক দলের বিধায়করা তো আপ্লুত। বিমানবাবুর আনা পেয়ারা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বিরোধী দলনেতার ঘরেও। কিন্তু, তা গ্রহণ করেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী!
উপহারের পেয়ারা ঘিরেও 'আমরা-ওরা'। অধ্যক্ষের দেওয়া উপহার পেয়ে লক্ষ্মীবারের দুপুরে বেজায় খুশি তৃণমূলের বিধায়করা। পাওয়া মাত্রই পেয়ারার প্যাকেট থেকে বার করে নুন মাখিয়ে খেতে শুরু করে দেন বেশ কয়েকজন। স্বাদ কেমন? শাসদ দলের বিধায়কদের দাবি ডাসা পেয়ারাগুলো নাকি অত্যন্ত সুস্বাদু।
এরই ফাঁকে দেখা যায়, অধ্যক্ষের সচিবালয়ের কর্মীরা উপহারের পেয়ারা নিয়ে পদ্ম শিবিরের বিধায়কদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। বিরোধী দলনেতার ঘরেও যান ওই কর্মীরা। তখনই অধ্যক্ষের দেওয়া পেয়ারা গ্রহণ করার বিষয়টি সচিবালয়ের কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে, সরাসরি বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
আরও পড়ুন- পাহাড় কোলে এ এক অন্য দিদি! তাক লাগানো কাণ্ডে লাইক, কমেন্ট, শেয়ারের স্রোত!
বিজেপি বিধায়কদের কেন এই পদক্ষেপ? আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ মুখ না খুললেও তাঁদের অনেকেরই দাবি, রাজ্যজুড়ে তো বটেই এমনকী বিধানসভার মধ্যেও বিরোধী বিধায়কদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে। অধ্যক্ষ সব দেখেও নীরব। তাই ওই অধ্যক্ষের দেওয়া পেয়ারা নাকি বিজেপি বিধায়কদের গলা দিয়ে নামবে না।
কী বলছেন অধ্যক্ষ? বিমান বন্দ্যোপাধ্যাও প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠমহলে নাকি অধ্যক্ষ বলেছেন বারুইপুরের এমন পেয়ারা না খেলে ওঁদেরই মিস, এসবের মধ্যেও যদি যদি ওঁরা রাজনীতি খোঁজেন তাহলে তো কিছু করার নেই।