'মা সারাদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রূপে জন্ম নিয়েছেন।' গত বছর জুনে এই দাবি করে প্রবল বিতর্ক তৈরি করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি। আর বৃহস্পতিবার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বললেন, 'স্বামীজিই নরেন্দ্র মোদী হয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন।'
এদিন স্বামী বিবেকানন্দের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী। প্রতিবছর ১২ জানুয়ারি মহা-আড়ম্বরে 'জাতীয় যুব দিবস' হিসাবে উদযাপন করা হয়। জন্মবার্ষিকীতে যুগপুরুষ স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানান বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এরপরই স্বামীজির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তুলনা টানেন সৌমিত্র। সাংসদের মন্তব্যে বিতর্ক চরমে। রেরে করে উঠেছে তৃণমূল ও বামেরা।
কী বলেছেন সৌমিত্র খাঁ?
'স্বামীজি নবরূপে নরেন্দ্র মোদী হয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন বলে আমার মনে হয়। কারণ, স্বামীজি আমাদের কাছে ভগবান। যপব সমাজের নয়নমণি। কিন্তু এদিকেও নরেন্দ্র মোদীজিও মাতৃ বিয়োগের পরও যেভাবে দেশের কাজ, সেবা করেছেন, নিজের জীবনটা দেশের সেবায় দিচ্ছেন তাতে আমার মনে হয় আধুনিক ভারতে নবরূপে স্বামীজিই নরেন্দ্র মোদীজি।'
স্বাভাবিকভাবেই সৌমিত্রর এই দাবির পর তাঁর দিকে কটাক্ষ উড়ে এসেছে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'সৈমিত্রের ব্যাপারে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়। উনি পালগ না ছাগল কেউ জানে না। স্বামীজি এমন এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন যিনি নিজের সবটা দিয়ে ধর্মের ও দেশের সেবা করেছেন। কেউ ত্যাগ করে দেশসেবা করে, কেই আবার ভোগ করে করে। সুতরাং স্বামীজিকে এভাবে তাচ্ছিল্য করা আসলে তাঁকে অপমান করা। এটা বাংলার সমাজ কখনও মেনে নেবে না।'
সিপিআইএম নেতা শমীক লাহিড়ি বলেছেন, 'বিজেপিতে সৌমিত্র খাঁয়ের অবস্থা খারাপ তাই পয়েন্ট বাড়ানোর চেষ্টা করছে এখন। সে বাড়ান, কিন্তু তার জন্য বিবেকানন্দকে অপমান করার অধিকার ওকে কে দিন? আসলে ভারতের মণীষীদের সমন্ধে এঁরা কিছু জানেন না, পড়েনও না। নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধায় মণীষীদের ব্যবরা করা হয়। ফলে উনি দলের অভ্যন্তরে পয়েন্ট বাড়াতেই বোকার মত কথা বলেছেন।'
সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেছেন, 'স্বামীজির ভক্ত নরেন্দ্র মোদী। স্বামীজিকে অণুসরণ করেন মোদীজি। তাঁদের দু'জনের নাম নরেন্দ্র, এই সাদৃশ্য আছে।' তাহলে কী সৌমিত্র দাবি 'নরেন্দ্র মোদীই আধুনিক ভারতের স্বামিজি'-কে সমর্থন করছেন তিনি। সুকান্তর জবাব, 'আমি যা বলার বলে দিয়েছি।'
আরও পড়ুন- দফতর-বাড়িতে টাকার পাহাড়! কেন? কী ব্যাখ্যা জেলার ‘সর্বোচ্চ করদাতা’ বিধায়ক জাকিরের