ধনকড় জমানা এখন অতীত। কলকাতার রাজভবনের নতুন অতিথির সঙ্গে পথ চলার শুরুটা ভালো হয়নি বঙ্গ বিজেপির। রাজ্যপালের মমতা-সুখ্যাতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না শুভেন্দু-সুকান্তরা। তাই আর দেরি না করে এবার রাজ্যপালের সঙ্গে রাজভবনে গিয়েই বৈঠক সারলেন সুকান্ত মজুমদার। পাক্কা ২ ঘণ্টা বৈঠকের পর পেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেন, 'বাংলার রাজনীতি হিংসা ও দুর্নীতিমুক্ত হোক, এটাই চান রাজ্যপাল। দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে কেউই রেহাই পাবেন না বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।'
শনিবার সকালেই রাজভবনে যান বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন সুকান্ত। পরে বৈঠক সেরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যথেষ্টই আশ্বস্ত বোধ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপির প্রধান সেনাপতিকে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'বাংলর রাজনীতি হিংসা ও দুর্নীতিমুক্ত চান রাজ্যপাল। দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে কেউই রেহাই পাবেন না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। দুর্নীতির বিরুদ্দে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন রাজ্যপাল। বাংলার রাজনীতিতে বারবার হিংসা ঢুকে পড়ছে, সেটা কখনই অভিপ্রেত নয় বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।'
আরও পড়ুন- বাড়িতে রঙিন মাছ চাষে বিপুল আয়ের দিশা! বিস্তারিত জানলে উৎসাহ পাবেন বেকাররা
এছাড়াও এর আগের রাজ্যপাল লা গণেশনের সময়ে যে লোকায়ুক্ত তৈরি করা হয়েছিল, তা সংবিধানের নিয়ম মেনে হয়নি বলেই মনে করেন সুকান্ত। সেটা বাতিল করতে বিধানসভার আগামী অধিবেশনে অর্ডিনান্স আনার কথাও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
আরও পড়ুন- ফের গরু নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ, ‘কাউ হাগ ডে’ প্রত্যাহারে মন খারাপ?
এদিকে, রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এই একান্ত আলাপচারিতা একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, 'রাজ্যপালের সরকারের সঙ্গে দ্বিমত থাকলে সেটা রাজ্যপাল জানাবেন। রাজ্যপাল যেমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছেন তেমনই তৃণমূলও লড়ছে। রাজ্যপাল যে সুকান্ত মজুমদারকে পিআরও নিয়োগ করেছেন সেটা জানতাম না।'
অন্যদিকে, এপ্রসহ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'আমি ও ফিরহাদ হাকিম গিয়েছিলাম রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। রাজ্যপাল তাঁর রাজধর্ম পালন করছেন। সব দলকে সমান চোখে দেখছেন। বিজেপি চায় রাজ্যপাল তাঁদের কাথাতেই চলুন।'