বিজেপির মিছিল থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি বেআইনি। নাইন এমএম পিস্তলটির লাইসেন্স এ রাজ্যের নয়, জম্মু–কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার। ওই বন্দুক জেলার বাইরে বের করার কোনও অনুমতি নেই। প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়ে দিল হাওড়া সিটি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার হাওড়ায় বিজেপির যুব মোর্চার মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল পরিস্থিতি হয়। সেই সময়ে কর্তব্যরত পুলিশের নজরে আসে বলবিন্দর সিং নামক এক ব্যক্তির কাছে পিস্তল রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ পিস্তলটি নিয়ে নেয়। জানা গেছে, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে রাজৌরি জেলা থেকে এই পিস্তলের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এবং লাইসেন্সে বলা রয়েছে, শুধুমাত্র ওই জেলাতেই ব্যবহার করা যাবে, তার বাইরে ব্যবহার করলেই তা বেআইনি।
আরও পড়ুন- থানায় বিজেপি সাংসদদের ঘাড় ধাক্কা, লোকসভায় স্বাধিকার ভঙ্গের নালিশ জানাবে পদ্ম ব্রিগেড
নবান্ন অভিযানে কেন অস্ত্র নিয়ে মিছিল? প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় গেরুয়া বাহিনীকে। শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। পরে দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানান, 'যাঁর (বলবিন্দর সিং) কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার হয়েছে, তিনি বিজেপির যুব মোর্চার নেতা প্রিয়াংশু পাণ্ডের দেহরক্ষী।' প্রিয়াংশু বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, 'ওই বন্দুকের লাইসেন্সের নথি প্রিয়াংশু পাণ্ডের কাছে রয়েছে। সেকথা আমাকে ফোনে নিশ্চিত করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি। ফলে কোনও বেআইনি বন্দুক বিজেপির মিছিলে ছিল না।' হাওড়া ময়দানে বিজেপির কর্মসূচি চলাকালীন শুক্রবার স্থানীয় বাড়িগুলির ছাদ থেকে বিজেপি কর্মীদের নিশানা করে বোমা পড়েছে বলে অভিযোগ দিলীপবাবুর। তাঁর দাবি, বোমার স্প্লিন্টারে আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। কারা বাড়ির ছাদ থেকে বোমা ছুড়ল তা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি নস্যাৎ করে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার অভিযানে মাঝে অশান্তি পাকাতেই বলবিন্দর সিং অস্ত্র হাতে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন