Advertisment

বাবুঘাটে ধুন্ধুমার, পুলিশ-গেরুয়া বাহিনী সংঘাত, গ্রেফতার সজল ঘোষ

ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ...

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bjp police clash over ganga arati programme in bebughat kolkata, বাবুঘাটে ধুন্ধুমার, পুলিশ-গেরুয়া বাহিনী সংঘাত, গ্রেফতার সজল ঘোষ

গ্রেফতারের মুহূর্তে পুলিশের সঙ্গে বচসা সজল ঘোষের।

বাবুঘাটে বিজেপিরপ গঙ্গা পুজোর কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে। পুলিশি অনুমতি না মিললেও সেখানে পুজোয় অনড় ছিলেন গেরুয়া নেতারা। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে চলছিল মঞ্চ বাঁধার কাজ। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সাফ জানিয়ে দেন, পুলিশ অনুমতি না দিলেও গঙ্গা পুজো হবেই। এতে পদ্ম নেতা, কর্মীদের মধ্যে আরও উচ্ছ্বাস বাড়ে। বেলা বাড়তেই অবশ্য বাবুঘাটে গিয়ে বিজেপি মঞ্চ খুলে দেয় উত্তর বন্দর থানার পুলিশ। সেই সময়ই প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর তথা উত্তর কলকাতা বিজেপি সংগঠনের পর্যবেক্ষক। এরপরই পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘাটের আবহ তৈরি হয়।

Advertisment

গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বাবুঘাটে সাধু ও পূণ্যার্থীদের ভিড় রয়েছে। চলছে জি২০ সম্মেলন। পুলিশ বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়েছিল বাবুঘাটে গঙ্গা পুজোর কর্মসূচি হলে শহরে ট্র্যাফিক দুর্ভোগ হতে পারে। ফলে কর্মসূচি পিছনো হোক। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি পদ্ম বাহিনী। সজল ঘোষের পাল্টা দাবি, 'জি২০ হলে গঙ্গাসাগর হতে পারে। নজরুল মঞ্চে দিদির সভা হলে তো অনুমতির অভাব হয় না। তবে পুজোয় কেন হবে না। হবেই। সেনার অনুমতি রয়েছে। আগাম ২০ হাজার টাকা দেওয়া রয়েছে। আমাদের পুলিশের নিরাপত্তা চাই না।'

উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে সজল ঘোষ বলতে থাকেন, 'জেনে রাখুন গঙ্গা আরতি হবেই। আরতির সঙ্গে এই সরকারের বিসর্জন হতে পারে। সেটা আজই হয়ে যাবে কি না, বলতে পারছি না। এরপরই সজলকে লালবাজারে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।

তবে দমতে নারাজ বিজেপি। দলের পক্ষে জানানো হয়েছে সাড়ে ৫টা নাগাদ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে গঙ্গা আরতি কর্মসূচি হবে। ফলে দুপুরের সংঘাত সন্ধ্যাতেও ফের দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা।

kolkata police bjp Sajal Ghosh
Advertisment