BJP Protest Rally: একদিকে সুপ্রিম রায়ে রাজ্যে চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষিক-শিক্ষিকার। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ছড়িয়েছে অশান্তি আঁচ। এই আবহে রাজ্য বিজেপির ডাকে কলেজ স্কোয়ারে মহামিছিল। পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল শুভেন্দু-দিলীপ, সুকান্তরা। তিন শীর্ষ নেতাকে একই সঙ্গে মঞ্চে দেখে স্বভাবতই চাঙ্গা বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
যোগ্য-অযোগ্য আলাদা না করতে পারাতেই সুপ্রিম রায়ে চাকরি গিয়েছে রাজ্যের ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার। একদিকে যখন চাকরিহারাদের প্রতিবাদ চলছে রাজপথে তখনই চাকরি বাতিল ও মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী'র পদত্যাগের দাবিতে পথে নামল বিজেপি। আজকের এই মিছিলে একই সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বর্ষীয়াণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এদিনের মিছিল থেকে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে জোরালো সওয়াল।
প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, "তৃণমূল নেতারা কাটমানি খেয়ে শিক্ষকদের পথে বসিয়েছে। বাংলায় একদিকে চাকরি হারাদের হাহাকার অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে গৃহহারাদের আর্তনাদ। কঠিন এক দুঃসময়ে আজ আমরা পথে নেমেছি। যোগ্যরা যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তার জন্য যাঁরা দায়ি তাঁদেরকে আমরা ছাড়ব না"। হুঙ্কারের সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই সরকারের দিন ঘনিয়ে এসেছে। আমরা এই সরকারের পতন চাই।”
মুর্শিদাবাদের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর সংযোজন এই “মুর্শিদাবাদে পুলিশকে দাঁড় করিয়ে রেখে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। এই সরকারের আর একদিনও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই"। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মুর্শিদাবাদে চলমান অশান্তি ও চাকরিহারা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে সরাসরি নিশানা করেন।