রাজ্যে বিজেপির রথযাত্রা কি আদৌ হচ্ছে? বুধবারও কলকাতা হাইকোর্টে এ প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর মিলল না। আগামীকাল এ বিষয়ে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, ৭ তারিখ শুক্রবার রাজ্যে বিজেপির প্রথম গণতন্ত্র বাঁচাও তথা রথযাত্রা।
এদিন তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চে গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার জন্য অনুমতি চেয়ে বিজেপির পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র ও দীপ্তাংশু বসু। সরকারের পক্ষে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত। বিজেপির দাবি, প্রশাসনের অনুমতি পেতে সর্বস্তরেই আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, রাজ্য সেই দাবি উড়িয়ে দিচ্ছে। এদিন বিচারপতি জানতে চান, রাজ্য কি ৭ তারিখের গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার অনুমতি দিচ্ছে? এজি জানান, তিনি এখনই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না। আগামী কাল আদালতে জানাবেন। এরপরই, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে আদালতে হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দেন তপোব্রত চক্রবর্তী।
আদালতে এদিনের শুনানির মিটতেই সাংবাদিক সম্মেলনে বসেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে বারবার অনুমতি চাওয়া হলেও, মেলেনি। এরপরই রাজ্যপালের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হয় বিজেপি। শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচির অধিকার সুনিশ্চিত করতে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁদের। এদিকে, বিজেপির রথযাত্রাকে সামনে রেখে জনসংযোগে নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। এদিন দিলীপ ঘোষ ও বিজয়বর্গীয় উভয়েই জানান, ১৬ ডিসেম্বরে শিলিগুড়ির রথযাত্রায় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শিলিগুড়ির পাশাপাশি মোদী রাজ্যের আরও দু'টি রথে যোগ দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।