অভিনব উদ্যোগ বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের। এলাকার মানুষের সমস্যা সমাধানে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের এমন তৎপরতা প্রশংসা পেয়েছে এলাকাবাসীরও। এবার থেকে এলাকাবাসীদের সমস্যা সমাধানে এই তৎপরতা আরও গতি পাবে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান।
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের ইটামগরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতে এবার ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। রাজ্যের কোণায় কোণায় সরকারি সুবিধা পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকার 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্প চালু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত সেই প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এবার ওই একই ধাঁচের নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি পরিচালিত এই পঞ্চায়েতটি।
'পাড়ায় প্রধান', প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকাবাসীদের একেবারে ঘরের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তার আগে প্রকল্প নিয়ে এলাকায় প্রচাল চালানো হচ্ছে। নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত এলাকায় প্রধান-সহ পঞ্চায়েত কর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের সেখানে গিয়ে তাঁদের নানা অভাব-অভিযোগের কথা জানাচ্ছেন। প্রধান নিজে কানে শুনছেন এলাকাবাসীদের নানা অভিযোগ। সেই সঙ্গে দ্রুত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার মহিষাদলের ইটামগরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনিয়া প্রভাতী সংঘের মাঠে "পাড়ায় প্রধান" কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে এলাকার মানুষজন উপস্থিত হয়ে তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এদিন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ দাস বলেন, "আগে অনেক সময় গ্রামের মানুষ পঞ্চায়েতে গিয়ে প্রধানের দেখা না পেয়ে ফিরে আসতেন। এলাকাবাসীদের গুরুত্ব দিতেই এই তৎপরতা। আমরা সাধারণ মানুষের কাজকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। রবিবার পঞ্চায়েত বন্ধ থাকে। আমরা রবিবারও এলাকা ধরে ধরে যাব। 'পাড়ায় প্রধান'-এর মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করব। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে পঞ্চায়েতের চিন্তাভাবনার কথা যেমন তুলে ধরা হবে তেমনই সাধারণ মানুষের নানা সুবিধা-অসুবিধার কথাও শোনা হবে। প্রধান পাড়ায় পাড়ায় যাবে। মানুষের মনের মধ্যে পঞ্চতায়েত নিয়ে ক্ষোভ ছিল। প্রধান দিনের পর দিন অনুপস্থিত থেকেছেন এর আগে।"
আরও পড়ুন- নিরিবিলি সাগরতটে আশ্চর্য্য নীরবতা! কলকাতার কাছেই অপূর্ব এই সমুদ্রপাড়ে অপার শান্তি!
অন্যদিকে, বিজেপি পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের এমন উদ্যোগে এলাকাবাসীরাও খুশি। স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত কুমার মণ্ডলের কথায়, "এবছরই প্রথম 'পাড়ায় প্রধান' হল। এর আগে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নতুন প্রধান আসার পর তিনিই এটা জানিয়েছিলেন। আশা করছি এটা চলতে থাকলে মানুষের অভাব-অভিযোগও কমবে। 'পাড়ায় প্রধান' উদ্যোগে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি। এটা করলে মানুষ সরাসরি প্রধানের সামনে গিয়ে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।"
আরও পড়ুন- বালুর হাত ধরেই রাতারাতি ফুলেফেঁপে ঢোল? ইডির নজরে জ্যোতিপ্রিয়র কোন ঘনিষ্ঠরা?
এলাকার বাসিন্দারা চাইলে তাঁদের অভিযোগ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও পঞ্চায়েতকে জানাতে পারবেন। একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেই নম্বরে এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। WhatsApp নম্বরটি হল -8373063145।