বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর থেকে রাজ্য়ের নানা জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় কর্মীদের ওপর লাগাতার অত্য়াচার করছে বলে বিজেপি অভিযোগ করে আসছে। এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রীতিমতো লিফলেট বিলিয়ে ফতোয়া জারি করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের মহিষদা গ্রামে। ওই লিফলেটে ১৮ জনের নাম রয়েছে। যদিও তৃণমূল বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এটা চক্রান্ত বলে দাবি তৃণমূলের।
লিফলেটের ওপরে লেখা মহিষদা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, তার নীচে লেখা রয়েছে ১৭৬ ও ১৭৯ নম্বর বুথ। জিনিস-পত্র বিক্রি না করা, স্থানীয় দোকানে চা না দেওয়ার ফতোয়া। ফতোয়ার তালিকায় রয়েছেন ১৮ জন। নীচে ফের ফতোয়া। এই লিফলেট ঘিরেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল কংগ্রেস যে এভাবে দলের নাম লেখে না তা দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা জানে বলে মন্তব্য় করেছেন কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা।
বিজেপির অভিযোগ সারা রাজ্য়ের মতো কেশপুর জুড়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্য়াচার চলছে। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য ইন্ডিযান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "কেশপুরের সর্বত্র তৃণমূল কংগ্রেস অত্য়াচার করে আসছে। মহিষদা গ্রামে লিফলেট বিলি করে ফতোয়া জারি করেছে তৃণমূল। এটাই কেশপুরের কালচার হয়ে গিয়েছে। এখানে বহু মানুষ ঘরছাড়া। মারধরের পাশাপাশি আমাদের কর্মীদের কাছ থেকে মোটা টাকা জরিমানা আদায় চলছে।" বিজেপির এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বিজেপির অভিযোগকে মানতে নারাজ তৃণমূল। শিউলি সাহা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "এটা সর্বৈ মিথ্য়া। তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত। বিজেপি ও সিপিএম দুই দলই এই চক্রান্তে যুক্ত। যে বুথের কথা বলা হয়েছে সেখানে যথেষ্ট শক্তিশালী বিজেপি ও সিপিএম। এবারও সেখানে তারা ফল ভাল করেছে।" কেউ কী এমন কাজ লিফলেট ছড়িয়ে করবে? প্রশ্ন তুলেছেন শিউলি। তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য়, "এবারের হার বিজেপি মানতে পারছে না। এই ঘটনায় আমাদের দলের কেউ যুক্ত নেই। আর যদি কেউ করে তাহলে পুলিশ তদন্ত করবে।" গোটা কেশপুরে কোনও অত্য়াচারের ঘটনা নেই বলে শিউলির দাবি।
কেশপুরে মহিষদাতেই পৈত্রিক ভিটে ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দেবের। এই ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, 'তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা কুৎসা করতেই এই ধরণের অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে, খোঁজ নিচ্ছি। দলের কেউ জড়িত থাকলে অবশ্যই কড়া পদক্ষেপ করা হবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন