বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে গোলমালে উত্তপ্ত হল বালি-বেলুড়-লিলুয়া। গুলি-বোমা চালানোর অভিযোগ উঠল এই চত্বরে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ভাঙচুর চলে রাস্তায়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাইক-টায়ার। এই ঘটনার পর লিলুয়ায় জি টি রোড অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুই দলই কর্মীদের মারা হয়েছে এই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে সরব হয়। দুই দলের তরফেই এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালনার অভিযোগ করা হয়েছে।
বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, শুক্রবার এলাকায় পতাকা লাগাতে গিয়ে তারা তৃণমূলের বাধার মুখে পড়েন।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা তাঁদের এক কর্মীকে গুলি করেছে। প্রমোদ দুবে নামে ওই কর্মীর পায়ে গুলি লেগে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পদ্ম শিবিরের আরও অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাদের হাতে মার খেয়ে বালি ২ নম্বর মন্ডল সভাপতি মনোজ সিং ও দলের জেলা নেতা আত্মপ্রকাশ সিং গুরুতর আহত অবস্থায় বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালে ভর্তি।
যদিও বিজেপির এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, সবজি বিক্রেতারা বিজেপিকে তোলা না দেওয়ায় তাঁদের উপর হামলা চালায়। এমনকী বালিকে অশান্ত করতে এলাকায় বোমাবাজি করে বিজেপি আশ্রিত গুন্ডারা। গুলিও চালায় গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। সেই গুলিতেই আহত হয়েছেন বিজেপি কর্মী। দু’পক্ষই বেলুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূলে নেতা-কর্মীদের হাতে এদিন আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা গিয়েছে। এদিন পুলিশ ব্যবস্থা নিতে দেরি করে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপির তরফে। স্থানীয় বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন