পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক কারচুপি, হিংসার অভিযোগে সরব গেরুয়া বাহিনী। গ্রাম বাংলার গণতন্ত্রে 'হতশ্রী' অবস্থাকে কলকাতায় তুলে ধরতে এদিন কলেজ স্ট্রিট থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মহামিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরা। মিছিলের আগেই ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসে পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা করলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার বিজেপির ১১ জন কর্মী খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ। ২১ হাজার বুথে ভোট হয়নি। সঙ্গে রয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে পদ্ম শিবিরের ভোট কারচুপি, ছাপ্পার অভিযোগ। প্রতিবাদে এদিন কলেজ স্কোয়ার থেকে মহামিছিল করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। পুলিশ এই মিছিলের অনুমতি না দিলেও গেরুয়া নেতৃত্ব, কর্মী, সমর্থকদের আটকায়নি।
এদিন শুরুতে নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই মঞ্চ থেকেই বিরোধী দলনেতা দলীয় রাজ্য সভাপতির কাছে এই 'গণতন্ত্র লুঠে'র বিরুদ্ধে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণার আর্জি জানান। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মাননীয় রাজ্য সভাপতিকে বলব শুধু কলকাতায় প্রতিবাদ করলেই হবে না। যেসব জায়গায় ভোট চুরি হয়েছে সেখানেও কর্মসূচি নিয়ে হবে। বিডিও অফিস ঘেরাও করতে হবে। দ্রুত সেই কর্মসূচি ঘোষণা করুন।'
এরপরই বক্ততা দেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'ছাপ্পাশ্রী মুখ্যমন্ত্রী' বলে তোপ দাগেন তিনি। এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন মেনে নিয়ে ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের দিনই পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা করেন সুকান্ত মজুমদার। বলেন, 'শাসক দলকে ছাপ্পা মারতে, কারচুপি করতে সাহায্য করেছে বিডিও-রা। বিডিও-দের নাম এখন তাই বেচরা দিদির অফিসার। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে বিজেপি। তাই ২১ জুলাই যেসব ব্লকে ভোটে হিংসা, ছাপ্পা হয়েছে সেই সব বিডিও অফিস ঘেরাও করবে বিজেপি।'
পাশাপাশি বিডিও-দের এদিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্য বিজেরি সভাপতি। বলেছেন, 'এই কয়েকদিন আগেই ঘেরাওয়ের ফলে একজন বিডিও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মনে রাখবেন, পক্ষপাতিত্ব করলে সেই বিডিও-কে হাসপাতালে ভর্তি করানোর দায়িত্ব বিজেরি নেবে। নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করন। পুলিশকেও একই কথা বলছি। আপনারা শাসক দলকে সহায়তা না করলেই তৃণমূলকে ১৫ মিনিটে ঘরে পাঠিয়ে দেব।'