New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/07/MmfzrSbqjqhCyzD6s9eM.jpg)
TMC: প্রতীকী ছবি।
Purba Bardhaman News: বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
TMC: প্রতীকী ছবি।
বিজেপির কার্য্যকারিণী বৈঠক চলাকালীন হামলা চালানোর অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে।হমলাারীরা বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে চড়াও হয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায় বলে অভিযোগ। বর্ধমান শহরের ২৩ ওয়ার্ডের রথতলা এলাকায় হওয়া এই ঘটনায় এলাকার বিধায়ক খোকন দাসের নাম জড়িয়েছে।ঘটনায় বিজেপি বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার ৫ নম্বর মণ্ডল সভাপতি শুভঙ্কর রায়, মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক অসিত হালদার সহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বিজেপি নেতা ও কর্মীদের উপর এহেন হামলা আক্রমণের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব সহ বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল লামা, মনোজ ওরাও,পুনা ভাংরা ও পবন সিং
সোমবার বিজেপি জেলা দপ্তরে এসে পৌছান। এরপর আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে তারা সেখান থেকে চলে যান স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে । আহতদের কাছ থেকে হামলার ঘটনার সবিস্তার শুনে বিজেপি প্রতিনিধিরা ক্ষোভ ব্যক্ত করেন । শঙ্কর ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শাসকদলের দুস্কৃতীরা চরম অন্যায় করছে। বিজেপির সংগঠন বিস্তারে ভয় পেয়ে তারা এসব করছে। ছাব্বিশে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এরা পালিয়েও বাঁচতে পারবে না।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা যুবমোর্চার সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহার অভিযোগ,’বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খোকন দাসের বাড়ির শহরের রথতলা এলাকায়।বিধায়কের বাড়ির কাছেই বাড়ি রথতলা এলাকায় ৫ নম্বর মণ্ডলের মণ্ডল বিজেপি সভাপতি শুভঙ্কর রায়ের।রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই বুথ স্বশক্তিকরণ ও অপারেশন সিঁদুরের সফলতার কথা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া নিয়ে বিজেপি কর্মীরা বৈঠক করছিলেন।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ ,বৈঠকের শেষদিকে হঠাৎ করেই বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের নেতৃত্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা বিজেপি মণ্ডল সভাপতি শুভঙ্কর রায়ের বাড়িতে চড়াও হয় । তারা বিজেপিকর্মীদের মারধর করে।এমনকি মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটতরাজও চালায় বলে অভিযোগ ।ঘটনায় মণ্ডল সভাপতি সহ আরও বেশ কয়েকজন বিজেপিকর্মী আহত হন। চিকিৎসার জন্য তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। খবর পেয়ে রাতেই বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয় ।
তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসের দাবী, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। বিজেপি নেতৃত্ব আইনের দ্বারস্থ হলে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।বিজেপি বাজার গরম করার জন্যই তৃণমূলের নামে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে প্রশেনজিত দাস মন্তব্য করেছেন“। আর বিধায়ক খোকন দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,“আমি রাতে ঝামেলার কথা শুনেছি। ওদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। আমরা ওর মধ্যে নাই।মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে আমাদের কেউ হামলা করে নাই। আর শুভঙ্কর রায় তো বাংলাদেশী।ওই একমাত্র এখানে থাকে।ওর গোটা পরিবার থাকে বাংলাদেশে।কি করে নাম তোলালো তা বুঝতে পারছি না।“ বিধায়কের এই বক্তব্যের পাল্টা জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন,“নিজে বাংলাদেশী বলেই হয়তো বিধায়ক খোকন দাস সবাইকে বাংলাদেশী বানিয়ে দিতে চাইছে।“