ফের রাজ্যে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, উত্তেজনা গোঘাটে

ঘটনার পর উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যলয়েও ভাঙচুর চালায়। লাঠিচার্জও করতে হয় পুলিশকে।

ঘটনার পর উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যলয়েও ভাঙচুর চালায়। লাঠিচার্জও করতে হয় পুলিশকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bjp announces candidates in upcoming byelection at bengal

ভবানীপুর উপনির্বাচন ও বাকি দুই কেন্দ্রের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির

রাজ্যে ফের এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। রবিবার বিজেপি নেতা গণেশ রায়ের মৃতদেহ গোঘাট স্টেশনের পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গোঘাটে বিজেপি কর্মীর এই  রহস্যমৃত্যুতে এলাকায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। চলে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ। অভিযোগ, ঘটনার পর উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যলয়েও ভাঙচুর চালায়। লাঠিচার্জও করতে হয় পুলিশকে।

Advertisment

১৩ জুলাই উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বাজারের মধ্যে। তখনও বিজেপি অভিযোগ করেছিল তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের ঘোরামারা পঞ্চায়েত এলাকায় স্থানীয় বুথের বিজেপি সম্পাদক গৌতম পাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ফের রামনগরের হলদিয়া ২ অঞ্চলের অর্জুনি বুথের বিজেপি সভাপতি পূর্ণচন্দ্র দাসের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। এবার ঘটনাস্থল গোঘাট। এক্ষেত্রেও বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে গলায় গামছায় ফাঁস অবস্থায় গাছে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল এই সব খুনের সঙ্গে যুক্ত।

Advertisment

গোঘাটের খানাটি গ্রামে বিজেপি কর্মীর দেহ মেলে দেড় কিলোমিটার দূরে। এই ঘটনার পর এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা জড় হতে থাকেন। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ভাংচুর হয় তৃণমূল কার্যালয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। মৃতের ছেলে বিশ্বজিত রায় অভিযোগ, "২০১৯ লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূল হুমকি দিয়েছিল হাত, পা কেটে আলাদা করে দেব। মাথা নিয়ে ফুটবল খেলব। বাবাকে তৃণমূল দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে।" দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "আজ আরামবাগের গোঘাটে মন্ডল সম্পাদক গণেশ রায়কে খুন করেছে তৃণমূল । সিপিএম আগে মেরে মাটিতে পুঁতে দেত। এখন তৃণমূল মেরে ঝুলিয়ে দিচ্ছে। আমাদের কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে থানায় থানায় বিক্ষোভ দেখানো হবে।"

এদিকে তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনা বিজেপি নিজেই ঘটিয়েছে। তৃণমূলের নামে দোষারোপ করছে। হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, "মৃত ব্যক্তি আগে বামকর্মী ছিলেন। দিন কয়েক আগে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমরা নিশ্চিত বিজেপি নিজের লোক খুন করে রাজনীতি করছে। তদন্ত হলেই তা প্রমান হয়ে যাবে। বাংলার মানুষ বিজেপির এই খুনের রাজনীতির পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করবে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp West Bengal