পুকুর থেকে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর নিমদহে পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুখদেব প্রামানিকের দেহ। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগানায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামলা হয়। তার প্রতিবাদেই দলীয় প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন সুখদেব। তার জেরেই এই খুন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। খুনের নেপথ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত বলেই অভিযোগ পদ্ম বাহিনীর।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই সুখদেব প্রামানিককে খুন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগানায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামলা হয়। যাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। রাজনৈতিক লড়াইয়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে সেই তরজা প্রশাসনিক স্তরেও প্রভাব বিস্তার করেছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে শুক্রবার পূর্বস্থলীতে প্রতিবাদ সভা করে বিজেপি। জানা গিয়েছে, সেখানে হাজির ছিলেন সুখদেব প্রামানিকও।
এরপরই গত দু'দিন ধরে সুখদেব নিখোঁজ ছিলেন। অবশেষে রবিবার বিকেলে এলাকরই একটি পুকুর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সুখদেবের বাঁ চোখে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এরপরই পূর্বস্থলীতে অশান্তি ছড়ায়। রাস্তায় আগুন দিয়ে চলে প্রতিবাদ। আটকে রাখা হয়েছিল দলীয় কর্মীর দেহ। পরে পুলিশ গিয়ে বিজেপি কর্মী সুখদেবের দেহ উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য।
বাংলায় ১৩০ জনের বেশি দলীয় নেতা-কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। অধিকাংশ ঘটনাতেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে রাজ্যের তৃণমূলকে। শাসক দলের মদতেই এই নৃশংসতা বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। মমতা সরকার পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ বলে সরব বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে রাজ্যপাল- সর্বত্র অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই ইস্যুতেই রাজ্যে এখনই ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি তুলেছেন সর্বভারতীয় বিজেপির সহসভাপতি মুকুল রায়। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক বলে আর্জি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। তার মাঝেই সুখদেবের মৃত্যু দলীয় নেতৃত্বের দাবিকে আরও পোক্ত করল বলে মত ররাজনৈতিক বিশ্লেশকদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন