সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনে দফতরে যাবেন বলে কমিশনারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু তার আগে শনিবার দুপুরেই পার্ক স্ট্রিটে নির্বাচন কমিশনের অফিসেও তুলকালাম অবস্থা। পঞ্চায়েত ভোটে বাংলাজুড়ে হিংসা, খুনোখুনির ঘটনায় সোচ্চার বিজেপি। প্রতিবাদ জানাতে কমিশন দফতরের সামনে ভিড় করেছিল বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। এসবের মধ্যেই এদিন আচমকাই কমিশনের দফতরের মধ্যে ঢুকে পড়েন বিজেপি যুবমোর্চার এক নেতা। পুলিশের দাবি, পতাকা হাতে দোতলায় কমিশনারের ঘরে ঢুকতে মরিয়া ছিলেন ওই রাকবীর সিং।
এই ঘটনায় হইহই পড়ে যায় গোটা কমিশনে। শেষমেশ অবশ্য কমিশনার রাজীব সিনহার ঘরে ঢুকতে পারেননি রাকেশ। দোতলায় কমিশনারের ঘরের ঘরের দরজার বাইরে তাঁকে পুলিশ আটকে দেয়। রীতিমত চ্যাংদোলা করে তাঁকে বার করা হয়। সেই সময় রাকেশ স্লোগান দিচ্ছিলেন 'ভারত মাতাকি জয়' বলে।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী নিজে কমিশনার রাজীব সিনহাকে ফোন করেন। জানা গিয়েছে, শুরুতেই কমিশনারের কাছে বিরোধী দলনেতা জানতে চান, আর কত রক্ত চাই আপনার? এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টায় কমিশন দফতরে যাচ্ছি। তালা ঝোলাব।’
তুলকালাম বিভিন্ন ঘটনার জন্য এদিন ক্ষোভ উগরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি কালীঘাট অভিযানের ডাক দেন৷ বলেন, ‘মানুষের কাছে দু’টো রাস্তা আছে, জনগনের অভ্যুত্থান, চলো কালীঘাট, গুলি করুক, প্রথম ১০-২০ জন মরবে, কিন্তু বাংলা বেঁচে যাবে৷ আমি সেই তালিকায় থাকতে রাজি আছি৷ চলো কালীঘাটের ইটগুলো খুলেনি৷ এ ছাড়া ৩৫৬ অথবা ৩৫৫ করে নিতে হবে৷ এর কোনও বিকল্প নেই৷ দিল্লির কে কী ভাববে, অন্য কে কী বলবে জানার দরকার নেই৷ আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করার জন্য মন্ত্রীত্ত্ব ছেড়ে এখানে এসেছি৷ একটা কারণে এখানে এসেছি৷ আমি একটা উদ্দেশ্য লক্ষ্য নিয়ে এসেছি৷ যাতে আমার আপলিফমেন্ট হয়, সেটা হচ্ছে বেঙ্গলকে বাঁচানো৷ সেই লক্ষ্যে আমি অবিচল থাকব৷ তার জন্য আমাকে যা করতে হয়, করব৷ পতাকা নিয়ে বা পতাকা ছেড়ে, বাংলায় গণতন্ত্রকে বাঁচাতে আমি তাই করব৷’