“চোরকে চোর বলতে শিখুন। যারা কয়লা, গরু, চাকরি নিয়ে দুর্নীতি করেছে, তারা ভুল নয়- চুরি করেছে। ভুল বলে তাদের পাপকে লঘু না করে চোর বলার সৎ সাহস রাখুন।" এই ভাষাতেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতার কালীঘাটের বাড়ির ঠিকানায় চিঠি পাঠাল বিজেপির বীরভূম জেলা যুব মোর্চা।
এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে 'Get Well Soon' লেখা কার্ড পাঠানোর কর্মসূচি নিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। যা নিয়ে দিন কয়েক আগেই বিরোধী দলনেতার কাঁথির বাড়ির সামনে হুলস্থূল পড়ে গিয়েছিল। জেলার একাধিক কলেজ থেকে টিএমসিপি-র কর্মীরা এসে ভিড় জমান নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের বাড়ির সামনে। অধিকাংশেরই হাতে ছিল 'Get Well Soon' লেখা কার্ড।
বিরোধী দলনেতার বাড়িতে ঢুকে ওই কার্ড দেবেন বলে তাঁরা জানান। এরপর পুলিশ তাঁদের আটকালে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে য়ায়। সেই ঘটনার দিন কয়েক আগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষই এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর 'মানসিক সুস্থতা' কমানায় তৃণমূল এই কর্মসূচি নিয়েছিল।
এবার সেই একই কায়দায় চিঠি পাঠানোর 'রাজনীতি' বিজেপিরও। শনিবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতার কালীঘাটের হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটের ঠিকানায় চিঠি পোস্ট করলেন বীরভূমের বিজেপি যুবমোর্চার কর্মীরা।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতিকে অবমাননা: নেতার কথায় ক্ষমা চেয়েছেন মমতা, এবার কী বললেন অখিল?
শনিবার বিজেপির যুব মোর্চার নেতা কর্মীরা জমায়েত হন সিউড়ির দলীয় অফিসে। সেখানেই শতাধিক ছাপানো পোস্টকার্ড তুলে দেওয়া হয় কর্মী-সমর্থকদের হাতে। পোস্টকার্ড হাতে মিছিল করে সিউড়ি প্রধান ডাকঘরে হাজির হন বিজেপি যুবমোর্চার কর্মী সমর্থকেরা।
সেখানে ডাক বক্সে একে একে পোস্টকার্ড জমা দেন তাঁরা। এই অভিনব উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা। তিনি বলেন, "রাজ্যে বলি, পাথর, কয়লা থেকে চাকরি চুরি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী চোরদের সমর্থন করে চুরিকে ভুল বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই আমরা ঈশ্বরের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বিবেক জাগ্রত করার প্রার্থন করে চিঠি পাঠালাম। আমাদের দাবি অবিলম্বে আন্দোলনকারী যোগ্য ছেলেমেয়েদের চাকরি দিতে হবে।"