রাজ্য়জুড়ে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার নিয়েছে। বাড়ছে সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা। ঠান্ডা পড়লে মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যাবে বলে দাবি করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, বিজেপির দাবি, প্রশাসনের ঢিলেমিতেই বাংলার ঘরে ঘরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া হচ্ছে। সরব গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার রাজ্য বিধায়নসভাতেও ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন পদ্ম বিধায়করা। তবে এই বিক্ষোভ ছিল তাক লাগানো।
এ দিন মূলত উত্তরবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভার অধিবেশনে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। পাশাপাশি ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনারও দাবি করা হয়। বিরোদী বিধায়কদের অভিযোগ, প্রস্তাব পড়তে দেওয়া হলেও তা নিয়ে আলোচনার দাবি খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যার প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। গায়ে মশার পোস্টার সাঁটিয়ে এ দিন বিধানসভা এসেছিলেন বিজেপির বিধায়করা।
কক্ষ ত্যাগের পর, বিজেপি বিধাকরা ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের ভূমিকার নিন্দা করে মশারি নিয়ে বিধানসভা চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল করে। সেই সময় বিধায়কদের হাতে দু'টি মার মডেল দেখা যায়। প্রতিবাদের উত্তাপ বাড়লে একটি মশার মডেলে নীল-সাদা শাড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়। একাধিক বিজেপি বিধায়কদের দাবি, ওই মডেলে হাওয়াই চটি জুড়তে গেলেও তা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন- দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা: এবার পাল্টা চাপের চেষ্টায় অনুব্রত, জোর সওয়াল সিব্বলের
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, 'বাংলা তো এখন মশারানির হাতে। তার প্রতীক হিসাবেই মশাকে নীল-সাদা শাড়ি আমরা পরানো হল। এই মশারানি রাজ্য থেকে দূর না হলে কারোর ভাল হবে না।'
সাংবাদিক বৈঠকে বিরোদী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'আমাদের মুলতুবি প্রস্তাব পড়তে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা নিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি। আমি বিরোধী দলনেতা হিসাবে অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম। বিধানসভায় তো স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্য দফতরের কেউ আসেন না। আমাদের অনুরোধ ছিল, অন্তত সরকারের পক্ষে যে কোনও মন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানান, এ পর্যন্ত ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু সে সবের বালাই নেই। সাড়ে ১২ বছরে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র দফতরের বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা হয় না। প্রশ্ন করতেই পারেন না বিরোদী বিধায়করা। অথচ অর্থের পর এই দুটি দফতরই গুরুত্বপূর্ণ।'