শহরে ডেঙ্গু ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। রোজই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যু মিছিলও অব্যাহত। এই পরিস্থিতির জন্য কলকাতা পুরসভাকে দায়ী করেছে বিজেপি। ডেঙ্গুর এই বাড়বান্তের প্রতিবাদেই এ দিন আদালতের রায়ে বিজেপির যুবমোর্চার মিছিল ছিল নিউ আলিপুর থেকে চেতলা পার্ক পর্যন্ত। আর সেই মিছিল ঘিরেই চেতলা এলাকায় তুলকালাম পরিস্থিতি হয়। দুর্গাপুর ব্রিজ দিয়ে মিছিল এগোতেই তা নির্ধারিত রুটের বদলে প্যারিমোহন রায় রোডে ঢুকে পড়ে। বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, পুলিশ আগে থেকেই সেখানে ব্য়ারিকেড করে রেখিল। গেরুয়া যুব কর্মীদের পুলিশ বাধা দিলে তারা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে যায়। ধস্তাধস্তি হয় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে। এরপরই চলে পুলিশি ধরপাকড়। চ্যাংদোলা করে বিক্ষোভকারীদের পুলিশকে প্রিজনভ্যানে ওঠায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিজেপির যুব মোর্চা আদালতের নির্ধারিত রুট ভেঙে মেয়রের বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। যা লালবাজারের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হবে।
কলকাতা হাইকোর্টর তরফে নির্দেশ ছিল, ১৪ নভেম্বর বেলা দুটোর সময়ে নিউ আলিপুর থেকে চেতলা পার্ক পর্যন্ত বিজেপি মিছিল করবে। পুলিশের প্কতি নির্দেশ ছিল, যুব মোর্চাকে মিছিল বের করতে দিতে হবে।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, আগামী ১৪ নভেম্বর ওই রাস্তায় আরও দুটি মিছিল রয়েছে। একটি মিছিল ওলা-উবেরের সংগঠনের। এটি শাসকদল তৃণমূলের সংগঠন। এছাড়া ওই রাস্তায় ওইদিন সিপিএমেরও একটি কর্মসূচি রয়েছে। এর জেরে বিজেপিরপ যুব মোর্চার মিছিল কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে বলা হয়, রাসবিহারী থেকে লেক মলের দিকে মিছিল হলে সরকারের তাতে কোনও আপত্তি নেই।
এরপরই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের মধ্যস্থতায় সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু, সেই মিছিল ঘিরেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়।